গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ আরও কিছুটা কমল। দু’মাস পর রবিবারই দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজারের নীচে নেমেছিল। সোমবারও দৈনিক সংক্রমণ কমার প্রবণতা লক্ষ করা গেল। মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে কিছুটা। তবে সংক্রমণের হার বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। কমেছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫১৯ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৭৬। দৈনিক সংক্রমণে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তার পরেই কলকাতা। এই দুই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫৮৪ এবং ৩৭৩ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে তার পরেই রয়েছে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। অন্য দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনায় মারা গিয়েছেন ১১ জন।
দৈনিক সংক্রমণ কমলেও সক্রিয় রোগীর পরিসংখ্যানে ফের আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা রবিবারই বেড়ে সাড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সোমবার তা আরও কিছুটা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ৯২১। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ১ হাজার ২৭০।
দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ৩ হাজার থেকে এক লাফে আড়াই হাজারের নীচে নেমে এসেছিল রবিবারই। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটা আরও কিছুটা কমে দাঁড়াল ২ হাজার ১৭১। তবে দৈনিক মৃত্যু কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে প্রশাসন। দিনে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ৯০-এর নীচে আগেই নেমেছে। শনিবারের তুলনায় রবিবার কিছুটা বাড়লেও সোমবার ফের কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে উদ্বেগ বাড়িয়ে বৃদ্ধি লক্ষ করা গেল সংক্রমণের হারে। রবিবারই সংক্রমণের হার ছিল ৭.১৩। সোমবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৭.৩৫ শতাংশে। প্রতি দিন যত সংখ্যক মানুষের কোভিড টেস্ট হয় এবং তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। রবিবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৬০ হাজার ১১৩ জনের। সোমবার হয়েছে ৫৪ হাজার ২২৮। টিকাকরণের সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। টিকা দেওয়া হয়েছে ৫৬ হাজার ২৪৪ জনকে। এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪০ হাজার ৪ জন।