গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য জুড়ে কোভিডে মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যা ফের দেড়শো ছুঁইছুঁই হল। এই নিয়ে টানা দু’দিন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবারও স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে একই সংখ্যক মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাও ফের ১৯ হাজারের বেশি হয়েছে। যার জেরে রাজ্যে সংক্রমণের মোট হার এই প্রথম দাঁড়িয়েছে ১০.০২ শতাংশে। সেই সঙ্গে এর দৈনিক হারও আগের থেকে বেড়ে ৩১.৮৫ শতাংশ হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় ৩৭ জন করে কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১১ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে ৮ জন করে কোভিডে মারা গিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৬ জন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়ি এবং হাওড়ায় ৪ জন করে মারা গিয়েছেন। দার্জিলিং এবং দুই মেদিনীপুরে ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মালদহ, পুরুলিয়া এবং বীরভূমে ১ জন করে আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৩১ জনের কোভিডে মৃত্যু হল বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
করোনা রুখতে রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউন চলছে। এই আবহে গত দু’দিন ধরে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও নিম্নমুখী হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ৪ হাজার ২২০ এবং কলকাতায় ৩ হাজার ৮৯৯ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মধ্যে হাওড়া (১,২৭১), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১,২৬৯), হুগলি (১,০৮৬), নদিয়া (১,০৪৭), পশ্চিম মেদিনীপুর (৯৫২), দার্জিলিং (৭২৮), পশ্চিম বর্ধমান (৯৬০) এবং মুর্শিদাবাদ (৫২৪)-এর দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যান আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৩৩ জন আক্রান্ত হলেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
সংক্রমণ রুখতে করোনাবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকাকরণের দাওয়াই জরুরি বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক মহল। তবে দেশ জুড়ে টিকার অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। এই আবহে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের মাত্র ৫ হাজার ৪৪০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিড টেস্ট হয়েছে ৬০ হাজার ১৬টি।