গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ফের এক দিনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ হল রাজ্যে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছুঁতে চলেছে। তবে দৈনিক সংক্রমণ এবং দৈনিক সুস্থের সংখ্যার মধ্যে ব্যবধানের চিত্রটা গত কয়েক দিনের মতোই রয়েছে। সোমবারের থেকে মঙ্গলবার সুস্থের হার খানিকটা বেড়েছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৮৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৯৬১ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৬৮। এর মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ২ লক্ষ ২২ হাজার ৮০৫ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ২৬ হাজার ৬৪ জন।
গত ২৭ অগস্ট থেকেই দৈনিক সুস্থতার হার থেকেছে ৮০ শতাংশের উপরে এবং ক্রমশই তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এ দিনও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এ দিন সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৭.৮০ শতাংশ। এই হার যত ঊর্ধ্বমুখী হবে, ততই স্বস্তিদায়ক।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
আরও পড়ুন: দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমে ৭০ হাজার, কমল দৈনিক মৃত্যুও
রবিবার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৭.৩০ শতাংশ। কিন্তু গতকাল তা খানিকটা বেড়ে দাঁড়ায় ৭.৬৪ শতাংশ। এ দিন অবশ্য বিপরীত ছবি দেখা গিয়েছে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ৭.২৯ শতাংশে এসে ঠেকেছে। প্রতি দিন যত জনের কোভিড-টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত সংখ্যকের কোভিড-রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, তাকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার।
তবে কপালে ভাঁজ ফেলেছে এ দিন রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৬২, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এ দিনও মৃতের সংখ্যা সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও নদিয়ায় ৭ জন মারা গিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এবং বাঁকুড়ায় ৫ জন করে মারা গিয়েছে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৪ হাজার ৮৯৯ জনের।
আরও পড়ুন: ‘দেশবাসীকে ভুয়ো আশা নয়’, করোনা নিয়ে ভারতকে সতর্কবার্তা ল্যানসেটের
করোনা আক্রান্তের তালিকায় সাম্প্রতিক কালে কলকাতাকে রোজই টপকে যাচ্ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। এ দিন অবশ্য কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তার পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৪ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৩৫), পশ্চিম মেদিনীপুর (১৪৮), পূর্ব মেদিনীপুর (১৪৪), হাওড়া (১৬৪), হুগলি (১৪৭), বাঁকুড়া (১০৫) এবং নদিয়া (১২৪) জেলায়। এই সব জেলাতেই দৈনিক একশোরও বেশি কোভিড-রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ ছাড়া দার্জিলিঙ (৯৯), কোচবিহার (৮৮) আলিপুরদুয়ার (৬২) এবং জলপাইগুড়ি (৬০)-তে করোনা সংক্রমণের চেহারা দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় কিছুটা ভাল।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)