Mamata Banetjee

করোনা যুদ্ধে টাকা চাই, মোদীর কাছে ফের বকেয়া মেটানোর দাবি মমতার

মমতা জানান, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ চার হাজার ১৩৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বকেয়া বাবদ রাজ্যের ৫৩ কোটি টাকা বাকি রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ১৭:৫৮
Share:

ফের কেন্দ্রের কাছে বকেয়া দাবি মমতার। —ফাইল চিত্র।

বার বার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও বকেয়া মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে খরচ বেড়েই চলেছে রাজ্য সরকারের। গত কয়েক মাসে একাধিক বার এমন অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকেও বকেয়া মেটানোর দাবি জানালেন তিনি। মমতা জানান, জিএসটি ক্ষতিপূরণ এবং বকেয়া বাবদ রাজ্যের মোটা অঙ্কের পাওনা বাকি রেখেছে কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতিতে তা মিটিয়ে দেওয়া হোক।

Advertisement

দেশের যে ১০ রাজ্যে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তাতে শামিল হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে তিনি জানান, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ চার হাজার ১৩৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বকেয়া বাবদ রাজ্যের ৫৩ হাজার কোটি টাকা বাকি রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অন্তত তা মিটিয়ে দেওয়া হোক।

করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য পাচ্ছে না বলে আগেও অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্যের নিজস্ব ঋণ নেওয়ার সীমা (ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি বাজেটারি ম্যানেজমেন্ট বা এফআরবিএম) বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ মোট অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদনের (স্টেট জিডিপি) যে ৩ শতাংশ ঋণ বাজার থেকে নিতে সক্ষম ছিল রাজ্য, বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার আর্জি জানান মমতা।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাড়াতেই হবে টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, মমতাদের বললেন মোদী​

আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে বাজিমাত রাশিয়ার? বিশ্বে প্রথম টিকা তৈরির দাবি পুতিনের​

সম্প্রতি তাঁর সেই আর্জিতে সিলমোহরও দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু মমতা জানান, ঋণ নেওয়ার সীমা ২ শতাংশ বাড়ানো হলেও, তার ০.৫ শতাংশই শুধুমাত্র নিঃশর্ত। বাকি ১.৫ শতাংশই শর্তসাপেক্ষ। মহামারি পরিস্থিতিতে ওই বাকি ১.৫ শতাংশকেও নিঃশর্ত হতে হবে বলে এ দিন দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজ্যকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নেজাল ক্যানুলা (সিলিন্ডার থেকে নাক পর্যন্ত প্রসারিত অক্সিজেনবাহী নল) এবং ভেন্টিলেটরও সরবরাহ করার আর্জিও জানান তিনি।

করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে এর আগে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। কোমর্বিডিটি রয়েছে বলে দাবি করে রাজ্য আসলে করোনায় মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল সেই সময়। কিন্তু গত কয়েক মাসে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা যখন ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে, সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও জানিয়েছে মৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশির কোমর্বিটিডি ছিল। এ দিন ফের এক বার সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মমতা। জানিয়ে দেন, ‘‘কোভিডে মৃত্যুতে আমরা আগেই কোমর্বিডিটির উপর জোর দিয়েছিলাম। এখন সেটিকে সকলে গুরুত্ব দিচ্ছেন।’’ বাংলায় এখনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৮৯ শতাংশেরই ডায়বিটিস, ক্যানসার, হাইপারটেনসন এবং হৃদরোগের মতো কোমর্বিডিটি ছিল বলে জানান মমতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement