ছবি: পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দিল্লির মতোই খারাপ দিকে দিকে এগোচ্ছে। তাই এই সময়ে নিজের অহং ভুলে মোদী সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিয়ে বুধবার টুইট করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। তাঁর বক্তব্য, মোদী-শাহ জুটি অরবিন্দ কেজরীবালকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে মমতার উচিত মোদী সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করা। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি সম্পর্কে না জেনেই মালব্য মন্তব্য করেছেন। তাঁদের উচিত গুজরাতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভাবা।
গত কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। যে ১০টি রাজ্যে গোটা দেশের মোট সংক্রমণের ৮৬ শতাংশ হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। আজ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যচিত্রকে তুলে ধরে মালবীয় টুইটে বলেন, ফি দিন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ করে বাড়ছে ওই রাজ্যে। সংক্রমণের ওই হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। রোগী মৃত্যুর সংখ্যায় দেশে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পরীক্ষা কম হচ্ছে। মোট সংক্রমণ, পজিটিভ কেস ও মৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। টুইটে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘গত দু’সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে সুস্থতার হার কমছে। যত জনের পরীক্ষা হয়েছে, আজকের তারিখে তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের হার ১৩.৯৫%। পশ্চিমবঙ্গের ১০০০টি কোভিড মৃত্যুর ৫০%-এর বেশি কলকাতায়।’’
গত মাসের মাঝামাঝি দিল্লির করোনা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছিল। রাজধানীর পরিস্থিতি সামলাতে সেই সময়ে মাঠে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন সপ্তাহে দিল্লির করোনা পরিস্থিতির আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সেই উদাহরণ টেনে মালবীয় টুইটে বলেন, ‘‘বাংলার কোভিড পরিস্থিতি খারাপ দিকে এগোচ্ছে। নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, হাসপাতাল শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। এই সময়ে বাংলার মানুষের কথা ভেবে নিজের অহং ভুলে মোদী সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মোদী-শাহ ঠিক একই ধরনের বিপর্যয়ের হাত থেকে কেজরীবালকে বাঁচিয়েছিলেন।’’
লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অমিত মালবীয় না জেনে ভুল বলছেন। দিল্লির অবস্থা এখনও শোচনীয়ই আছে। তারা এখনও যথাযথ পরীক্ষাই করছে না। দিল্লিবাসী আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না। উনি আবার সেই দিল্লিই দেখাচ্ছেন! পারলে ওঁরা বরং, গুজরাতের কথা বলুন।’’