ফাইল চিত্র।
করোনা চিকিৎসার জন্য বিধাননগরের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ সেন্টার খোলার আবেদন জানাল কলকাতার সিপিএম। সরকারের কাছে তাদের পরামর্শ, এলাকার ঘন জনবসতির কথা মাথায় রেখে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বদলে সল্টলেক স্টেডিয়ামে করোনা সেন্টার করলে সব দিক থেকেই সুবিধা হবে।
কলকাতায় এখন করোনার মূল চিকিৎসা চলছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড সেন্টার’ করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেখানে গিয়ে প্রস্তুতি দেখে এসেছেন। কিন্তু কলকাতা জেলা সিপিএম নেতৃত্বের যুক্তি, কলেজ স্ট্রিট ও তার আশেপাশের অঞ্চল ঘন বসতিপূর্ণ। সংলগ্ন ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু বস্তি এলাকা আছে। সেখানকার মানুষও ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে কলেজ স্ট্রিটে যাতায়াত করেন। এমন একটি এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘স্যানিটাইজ’ করা সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে করোনা সেন্টার করা পরিস্থিতি সাপেক্ষে উপযুক্ত হবে।
সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জায়গা আছে, অনেক ঘরও আছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেখানে রাখা যেতে পারে। স্টেডিয়াম সরকারের হাতেই আছে, আশেপাশের হোটেলও সরকার চাইলে সাময়িক অধিগ্রহণ করতে পারে।’’ কলকাতা শহরের মধ্যেকার সমস্যা নিয়ে সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথাও হয়েছে। সরকারি সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা ভেবে আপাতত জেলাশাসকদের বলা হয়েছে নানা জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোম চিহ্নিত করতে। বিসিসিআই-এর তরফে ইডেন গার্ডেনে করোনা সেন্টার করার প্রস্তাবও আছে। প্রয়োজনমাফিক এই বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগের পাশে থাকার অঙ্গীকার ফের উল্লেখ করেই বুধবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ও করোনার আরও পরীক্ষার ব্যবস্থা, রেশন-সঙ্কটে নজর দেওয়া এবং খাবার বা আবশ্যিক সামগ্রীর প্যাকেটে রাজনৈতিক দলের প্রচার বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, বিপন্ন মানুষের কাছে তাঁরাও জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দিতে চান। প্রশাসন যেন সেই কাজে সহায়তা করে।