ঘটনাচক্রে, আক্রান্তেরা সকলেই মঙ্গলবার মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। —ফাইল চিত্র।
খোদ কলকাতার মেয়রের দফতরেই এ বার করোনার থাবা! মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দফতরের এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাধনা বসু। পাশাপাশি, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সস্ত্রীক বিধায়ক তাপস রায়ও। ঘটনাচক্রে, এঁরা সকলেই মঙ্গলবার মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানের আগে থেকেই সাধনার জ্বর-জ্বর ভাব ছিল বলে বুধবার জানিয়েছেন তাঁর কন্যা সুজাতা বসু। সাধনা আপাতত এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুজাতা বলেন, ‘‘দু’তিন দিন ধরে মায়ের জ্বর-জ্বর ভাব ছিল। এর পর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।’’ প্রসঙ্গত, মেয়রের দফতরের এক ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্ত ওই কর্মীকে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তৃণমূল বিধায়ক তাপসেরও। তাঁর স্ত্রীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। তাপস বুধবার বলেন, ‘‘আমার মেয়েরও জ্বর। তবে ওর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। আমাদের রিপোর্ট এসেছে। তাতে আমাদের করোনা পজিটিভ বলা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মেয়রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ভাল জমায়েত দেখা গিয়েছে। সেখানে দূরত্ববিধি লঙ্ঘনের ছবিও ধরা পড়েছিল। অনুষ্ঠানে অনেককে মাস্ক ছাড়া দেখা গিয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মূলত ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বড় জমায়েতের কারণেই অনেকের করোনা পরীক্ষার করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারই পাশাপাশি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ধকলের জন্য অনেকে অসুস্থ বোধ করায় তাঁদেরও নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বুধবার তাঁদের মধ্যে দু’জনের রিপোর্টে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ফের কড়াকড়ির ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় সংক্রমণ রুখতে ‘কন্টেনমেন্ট জোন’ (গণ্ডিবদ্ধ এলাকা) ঘোষণা করা ছাড়াও প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশিই লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানো বা অফিস-কাছারিতে কর্মীদের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে কাজ চালু রাখা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।