মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। পরিস্থিতি সামালাতে ফের সামূহিক নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার গঙ্গাসাগরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাকসনিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ফের স্কুল-কলেজ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা। একই সঙ্গে কলকাতায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (কন্টেনমেন্ট জোন) চিহ্নিত করার বিষয় নিয়েও নির্দেশ দিয়েছেন। লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানোর কথাও শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে মঙ্গলবারই সেখানে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাজ্যের শীর্ষস্তরের আমলা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন তিনি। সেই বৈঠকেই করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি আধিকারিকদের বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতি নজরে রাখো। যদি দেখ যে, স্কুলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে, তা হলে আমরা কিছু দিনের জন্য আবার ছুটি করে দেব।’’ মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ‘‘যে হেতু তৃতীয় ঢেউ আসছে, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি কী, ওমিক্রন পরিস্থিতি কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’
মমতাকে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাজ্যে ৮০০ জনের মতো কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবারও প্রায় হাজার জন সংক্রমিত। বিশেষ করে কলকাতা এবং শহরতলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে না, তবে হাসপাতালে সব কিছু প্রস্তুত করা আছে।’’
এর পরেই মমতা বলেন, ‘‘বাইরে থেকে যে বিমান আসছে, সেখান থেকেই কোভিড বেশি ছড়াচ্ছে। ধরাও পড়েছে।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভয় পাওয়ার কারণ নেই। ছড়াচ্ছে বেশি। ফলে সংখ্যাটা বেশি হচ্ছে।’’ মমতার পরামর্শ, বাইরে থেকে আসা বিমানে কলকাতার নাগরিকই বেশি থাকেন। আবার কলকাতার নাগরিকই বেশি যান বিদেশে। সে কারণে কলকাতা শহরে ফের গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক পর্যালোচনার কথাও বলেছেন মমতা।