Coronavirus in West Bengal

সংক্রমণ রুখতে তিস্তাপারের বেআইনি নির্মাণ ভাঙল জলপাইগুড়ি প্রশাসন, স্থানীয়দের ক্ষোভ

বুধবার সকাল থেকেই তিস্তাপারের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেআইনি রিসর্ট, কটেজ, ঘরবাড়ি, ক্যাফেটারিয়া, চায়ের দোকান ভাঙার কাজ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৩:২০
Share:

জেলা প্রশাসনের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

করোনার সংক্রমণ রুখতে তিস্তা নদীর পারের সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ল জলপাইগুড়ি প্রশাসন। বুধবার সকাল থেকেই তিস্তাপারের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেআইনি রিসর্ট, কটেজ, ঘরবাড়ি, ক্যাফেটারিয়া, চায়ের দোকান ভাঙার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কোনও কিছু না জানিয়েই এগুলো ভাঙা হচ্ছে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলাশাসকের অফিস সংলগ্ন জলপাইগুড়ির শহরের জুবিলি পার্কে বিচারপতির আবাসনের সামনে তিস্তাপারে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একাধিক বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে। ওই এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ৫ শতাধিক মানুষের জমায়েত হচ্ছে। সে কারণেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। এ সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেন। সেই মামলার নির্দেশ মোতাবেক বুধবার তিস্তাপার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ-প্রশাসন। তবে ভাঙার কাজ শুরু হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পেশায় চাষি স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের বাড়িঘর সব ভেঙে দিয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “এ বার আমাদের বাচ্চাগুলো যাবে কোথায়? রাতে কোথায় থাকব আমরা? কে নিরাপত্তা দেবে?”

যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, “আদালতের নির্দেশেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। তিস্তার চরদখল কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement