CORONAVIRUS

করোনার জেরে এক সপ্তাহ পুরো বন্ধ আইআইটি

আজ, রবিবার থেকে এক সপ্তাহ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। তবে অনলাইন ক্লাস চলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৫২
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রায় ফাঁকা ক্যাম্পাসে কড়াকড়ি করেও ঠেকানো যায়নি করোনা। পড়ুয়া, কর্মী থেকে সংক্রমিত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও। পরিস্থিতি দেখে আজ, রবিবার থেকে এক সপ্তাহ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। তবে অনলাইন ক্লাস চলবে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে আইআইটির রেজিষ্ট্রার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে ৬ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ বন্ধ করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সংক্রান্ত ও প্রশাসনিক কাজকর্ম। ক্যাম্পাসে যে পড়ুয়া, অধ্যাপক, কর্মী, সাফাইকর্মীরা রয়েছেন তাঁরা আপাতত থাকবেন। তবে বাইরে থেকে কেউ আসবেন না। আর নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে কিছুক্ষণের জন্য খোলা হবে আইআইটি-র টেকনোলজি মার্কেট। ওষুধের দোকান বাদে দুপুর ২টো পর্যন্ত একবেলা খোলা থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। তবে বাজারে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার না হলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

আইআইটি-র রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “এটাকে লকডাউন বলা যাবে না। এতদিন আমাদের কিছু গবেষণাগার, অফিস দিন বদল করে খোলা হচ্ছিল। এর জন্য বাইরে থেকে বহু কর্মী আসছিলেন। তাই আমরা এক সপ্তাহের জন্য প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ রাখছি। বাইরে যাতায়াত বন্ধ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা সময় মেনে সচল থাকবে।”

Advertisement

শুক্রবারই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজ়িটিভ হন আইআইটি-র বিসি রায় টেকনোলজি হাসপাতালের ছয় চিকিৎসক। সব মিলিয়ে আইআইটিতে ৩১জন করোনা পজ়িটিভ। যদিও গত মার্চে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার আগেই আইআইটি শিক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম বন্ধ করেছিল। পরে পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা হয়। সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পড়ুয়ার মধ্যে ৮ হাজার পড়ুয়া বাড়ি চলে যান। যাঁরা থেকে গিয়েছিলেন, তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত করা হয়। তবে আনলক পর্বে প্রশাসনিক ও গবেষণার কাজ কিছুটা শুরু হয়েছিল। সেই সূত্রে বাইরে থেকে আসছিলেন কর্মীরা। ইতিমধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় ৩০ অগস্টের মধ্যে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাস ছাড়তে বলেন কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও শ’খানেক পড়ুয়া প্রতিষ্ঠানে আছেন। রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ বলেন, “পড়ুয়াদের বাড়ি যেতেই বলছি। কেউ বাইরে যেতেই পারেন। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ আসবেন না।”

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement