ফাইল চিত্র।
জেলে ভিড় এড়াতে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮৫০ জন বন্দিকে জামিন বা প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে জেলবন্দি বিদেশি অভিযুক্তেরা প্যারোলে ছাড়া পাবেন না বলে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। বুধবার ভিডিয়ো-সম্মেলন পদ্ধতিতে বিচারাধীন তিন বন্দিকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে থাকা বিচারাধীন বন্দিদের জামিন বা প্যারোলে কিছু দিনের জন্য মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু বিদেশি অভিযুক্তদের পাশাপাশি জাল নোট পাচার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে (ইউএপিএ) অভিযুক্তেরা এই প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাবেন না। দণ্ডিত ১০১৮ জন বন্দি এবং ২০৬০ জন বিচারাধীন বন্দিকে তিন মাসের অন্তর্বর্তী জামিন বা প্যারোল দিতে সুপারিশ করেছিল হাইকোর্ট নিযুক্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। সেই তালিকায় বিদেশি অভিযুক্ত, জাল নোট পাচারকারী এবং ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত কমবেশি ১৫০ জনের নাম ছিল। অন্য সময়ে স্থানীয় কোনও যোগসূত্র থাকলেই বিদেশি বন্দিরা প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু এখন তা হবে না। হাইকোর্ট প্রশাসন সূত্রের খবর, কমিটি সুপারিশ করলেও বিদেশি অভিযুক্ত-সহ বাকিদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যাবে না বলে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে কারা দফতরকে। ওই দিন পর্যন্ত ৮৫০ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে দু’টি জামিনের মামলার শুনানি হয়। ২০১৮ সালে দার্জিলিং সদর থানা এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের মামলায় অভিযুক্ত হন পূরণ তামাং নামে এক যুবক। তাঁর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, ডিভিশন বেঞ্চ পূরণকে তিন মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে। বোমা মেরে খুনের অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত শুভঙ্কর দাস নামে এক যুবক আট বছর ধরে জেলে রয়েছেন। ওই অভিযুক্তকেও তিন মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে বিচারপতি দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। ভিডিয়ো-সম্মেলনে তৃতীয় মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের আদালতে। অভিযুক্ত অরবিন্দকুমার মুনকা জিএসটি নথি জালের মামলায় ১০ মাস ধরে জেলে আছেন। তাঁকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়।