ফাইল চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিয়োকে ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক।
মঙ্গলবার রাতে একটি ভিডিয়ো (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) টুইট করেন দিলীপ। সেখানে লেখা হয়েছে, দাঁতনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিন কেন্দ্রের অব্যবস্থা। ওই ভিডিয়োয় কয়েকজনকে বলতে শোনা গিয়েছে একটি ঘরে গাদাগাদি করে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। বিজেপি সভাপতি কোয়রান্টিন কেন্দ্র বলে দাবি করলেও স্থানীয় বিজেপি নেতা তা মানতে নারাজ। দাঁতনের বিজেপি নেতা মোশাফ মল্লিক বলেন, ‘‘ওটা কোয়রান্টিন কেন্দ্র নয়। বর্তমানে ওখানে তেমন লোক নেই। রাস্তার ধারে রোগীরা ছিলেন। তাদের হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ প্রশাসন।’’ তবে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘গাদাগাদি করে অব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছিল। সংক্রমণের ভয় তো থেকে যাচ্ছেই।’’ সাংসদের পোস্ট করা ভিডিয়োর নিন্দা জানিয়ে দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘যে এলাকার উনি সাংসদ (দিলীপ ঘোষ) এই অবস্থায় সেখানকার মানুষের খোঁজখবর নিলেন না। অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই কাজ হচ্ছে। ’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, সাংসদ তাঁর পোস্ট করা ভিডিয়োয় যেখানকার কথা বলতে চেয়েছেন সেটি রাজ্যের শেষ সীমা ওড়িশা ঘেঁষা দাঁতনের সোনাকোনিয়া। ভিন রাজ্য থেকে আসা রোগী ও তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছিল এখানে। রাজ্যে ঢোকার অনুমতি মিলছিল না। রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা পুলিশের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। পুলিশের বক্তব্য ছিল, রোগীদের একাংশকে একটি হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযোগ, অনেককে নাকি তাঁবু খাটিয়েও রাখা হয়েছিল। হোটেলে গাদাগাদি করে রাখা নিয়েই সরব হয়েছিলেন রোগীরা। হয়েছিল বিক্ষোভও। সূত্রের খবর, সাংসদের পোস্ট করা ভিডিয়োটি দিন কয়েক আগের হোটেলে থাকা রোগীদের।
প্রশাসন জানিয়েছে, দাঁতনের ওই হোটেল এখন ফাঁকা। সেখান থেকে অনেককে খড়্গপুরের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ওই কেন্দ্রে লালরসের নমুনা সংগ্রহের পর তাঁদের সংশ্লিষ্ট গন্তব্যে পাঠানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।