ছবি পিটিআই।
একশোর ঘর ছাড়িয়ে রাজ্যে এক দিনে নতুন করে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শো ছাড়াল। সেই সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর ও ঝাড়গ্রামে সরকারি ভাবে করোনা-আক্রান্তের খবর স্বীকার করা হল স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। সরাসরি কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে মৃতের সংখ্যা ৯৯ থেকে বেড়ে হল ১১৩। কো-মর্বিডিটিতে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা পজ়িটিভ মৃত্যুর সংখ্যা ১৮৫।
এ দিন মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন কলকাতা, দু’জন উত্তর ২৪ পরগনা এবং দু’জন হাওড়ার বাসিন্দা। কলকাতায় আরও ৩৭ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪৮। এ দিন সব চেয়ে বেশি করোনা পজ়িটিভের হদিস মিলেছে হাওড়ায়। সেখানে নতুন করে আক্রান্তের তালিকায় আছেন ৪৭ জন। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় ৩৭০ থেকে ৪১৭ হয়ে গিয়েছে। তবে সব চেয়ে চমকপ্রদ পরিসংখ্যান হুগলির। শনিবারেও ওই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১। ৪৯টি নতুন কেস আসায় তা বেড়ে হয়েছে ১২০! উত্তর দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম— দু’টি জেলাতেই তিন জন করে মোট ছ’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে বুলেটিনে জানানো হয়। তবে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে তাদের নাম এ দিন রাত পর্যন্ত ‘এগিয়ে বাংলা’ বা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে দেখা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী আক্রান্তের হদিস মেলার পরে দু’টি জেলার নামই কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকায় থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: বেশি মিউটেশনেই কি মৃত্যু বেশি কলকাতায়
কলকাতায় এ দিন আক্রান্তদের মধ্যে এনআরএসের এক নার্স আছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের খবর। কলকাতায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী দৌড়ে আশ্বস্ত হতে পারছে না বেশ কিছু জেলা। গত কয়েক দিনে একাধিক জেলায় কলকাতা-ফেরত লোকজন করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে ফিরে করোনা পজ়িটিভ হয়েছেন দুই শ্রমিক। মেটিয়াবুরুজ থেকে রামপুরহাট ফেরা এক ব্যক্তি, পার্ক সার্কাস থেকে রায়গঞ্জ এবং হেমতাবাদে ফেরা তিন হোটেলকর্মী, হলদিয়া থেকে কেপিসি হাসপাতালে আসা এক ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: দূরত্ব বিধি মেনে পরিষেবা, প্রস্তুতি নিচ্ছে মেট্রো
এ দিনের বুলেটিনে মুর্শিদাবাদে নতুন করে কোনও আক্রান্তের উল্লেখ নেই। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, চার জন করোনা পজ়িটিভ রোগীর সন্ধান মিলেছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন সুতি এলাকার বাসিন্দা। গত সপ্তাহে তাঁরা দিল্লি থেকে ফিরেছেন। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার যে কিছু নেই, সেই বার্তা দিতে এ দিন টুইটে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)