এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মার্চের শেষ দিনে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি ছুঁইছুঁই। পাশাপাশি সংক্রমণের হারও এক লাফে বেড়ে ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল, যা গত ২৬ ডিসেম্বরের পর এই বছরে প্রথম। বাড়ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ইঙ্গিত রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিল। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার পরামর্শই দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।
বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮২ জন। যা গত ১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। ওই দিন দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১,১৫৩। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় এক হাজার জন নতুন আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯১৫ জন।
বুধবারও কলকাতা (৩৮০) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (২১২) সংক্রমণের শীর্ষ স্থানে। এ ছাড়া হাওড়া (৭৭), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫৬), হুগলি (৫৩), পশ্চিম বর্ধমান (৫১), বীরভূম (৩০), নদিয়া (২৯), পূর্ব মেদিনীপুর (১৬), মুর্শিদাবাদ (১২), মালদহ (১২) এবং পূর্ব বর্ধমান (১০)-এ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কে।
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলেও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা সেই তুলনায় বাড়েনি। সোমবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ১১৬ জনের। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৬৯টি। বুধবার তা কিছুটা বেড়ে হয়েছে, ২৩ হাজার ৫৩৭টি। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। সোমবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৩.৫৩ শতাংশ। মঙ্গলবার সংক্রমণের হার ৩.৫১ শতাংশ। বুধবার নমুনা পরীক্ষা কিছুটা বাড়লেও, সংক্রমণের হার ৪.১৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে ২ লক্ষ ২ হাজার ৪৭৮ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট টিকাকরণ হল ৫০ লক্ষ ৯১ হাজার ১০৩ জনের। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও রাজ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন কলকাতা এবং আর এক জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ১০ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হল।