এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
এপ্রিলের প্রথম দিনেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ এক লাফে ১,২০০ পেরিয়ে গেল। পাশাপাশি সংক্রমণের হারও বুধবারের থেকে খানিকটা বেড়ে পাঁচ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। সংক্রমণ রুখতে সতর্কতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ জন। তার জেরে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন হল ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৮৯। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা (৩৯৯) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (৩৪৪)-য় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এ ছাড়া হাওড়া (১১২), হুগলি (৭৩), পশ্চিম বর্ধমান (৭০), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫৯) এবং বীরভূম (৪০)-এ করোনা সংক্রমণ আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। দার্জিলিং (১৮), জলপাইগুড়ি (১০), মালদহ (২০), মুর্শিদাবাদ (১৮), নদিয়া (১৬), পুরুলিয়া (২২), পূর্ব মেদিনীপুর (২৯) এবং পূর্ব বর্ধমান (১৫)-এ দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা দুই অঙ্কে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ৭৬৬টি। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১ হাজার ২৭৪ জনের। বুধবারের থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সংক্রমণের হারও। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। বুধবার সংক্রমণের হার ছিল ৪.১৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার তা হয়েছে ৪.৯৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন কলকাতার এবং অন্য জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ হাজার ৩৩১ জন। বৃহস্পতিবার রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৩টি। যা বুধবারের তুলনায় কিছুটা কম। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট টিকাকরণ হল ৫২ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬৬ জনের।
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৩৪ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৪৫ জন। গত বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৩৮ জন বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৫১৩।