গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের করোনা সংক্রমণের দৈনিক পরিসংখ্যান আগের যাবতীয় নজির ভেঙে দিল। শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছে গেল প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে কলকাতাতেও ১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হারও সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৪৬ শতাংশে।
শুক্রবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই ২ হাজার ৮৩০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কলকাতার পরেই ১ দিনে সংক্রমণের নিরিখে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় ২ হাজার ৫৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। এ ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৭৯০), হাওড়া (৭৪৬), পশ্চিম বর্ধমান (৬৪৩), হুগলি (৫৯৪) এবং পূর্ব মেদিনীপুরে (৪১৯) দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
সংক্রমণ রুখতে করোনাবিধি মেনে চলা ছাড়াও টিকাকরণই পথ বলে মনে করে চিকিৎসক মহল। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে টিকাকরণের সংখ্যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় খানিকটা কমেছে। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৫৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ১২১ জনের টিকাকরণ হয়েছিল।
সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণের মতোই কোভিড টেস্ট করাটাও জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড টেস্ট হয়েছে ৫২ হাজার ৬৪৬টি।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে যে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে কলকাতার বাসিন্দা সবচেয়ে বেশি (১৭ জন)। এ ছাড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় ১০, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৭, হাওড়া এবং হুগলিতে ৪ জন করে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, মালদহে ৩, জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে মারা গিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদে ১ জন করে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।