প্রতীকী ছবি।
ক্রমাগত বিবর্তনের ফলে আরও শক্তিশালী হচ্ছে করোনাভাইরাস। বাড়ছে সংক্রমণের ক্ষমতাও। এমনই কথা জানিয়েছেন দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (এমস)-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া। তবে সংক্রমণ-শক্তি বাড়লেও করোনাভাইরাসের নতুন রূপগুলি আরও বেশি প্রাণঘাতী কি না, তা বিশ্লেষণের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য এখনও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেড় বছরের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ১৫ কোটি ছুঁতে চলেছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের। কিন্তু করোনাভাইরাস হানার এই স্রোতে আপাতত কোনও বিরতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রণদীপ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত পাওয়া সীমিত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন যে রূপগুলির দেখা মিলেছে সেগুলি আরও বেশি সংক্রামক।’’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন এমস প্রধান। এ ক্ষেত্রে এন-৯৫ জাতীয় মাস্ক তুলনামূলক ভাবে বেশি কার্যকরী বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ক্রমাগত জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে করোনাভাইরাস আরও শক্তি বাড়িয়েছে বলে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। বিগত কয়েক মাসে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে ভাইরাসটির নতুন রূপ তৈরি হয়েছে। এগুলির সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বেশি। ভারতেও নয়া রূপগুলির সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে।
এমনকি, দু’টি টিকা নেওয়ার পরেও কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এমস অধিকর্তা। যদিো চলতি সপ্তাহেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানিয়েছিলেন, কোভিড টিকা নেওয়ার পরেও সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন সামান্য সংখ্যক মানুষ। সামগ্রিক পরিসংখ্যান করে দেখা যাচ্ছে, সেই হার ‘খুবই কম’। ১০ হাজারের মধ্যে গড়ে মাত্র ৪ জন।