গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ফের সাড়ে ৬০০-র গণ্ডি পার করল। এই নিয়ে টানা দু’দিন। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য কমেছে। ওই সময়ের মধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় কোনও বাসিন্দার মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে জলপাইগুড়িতে সবচেয়ে বেশি চার জন মারা গিয়েছেন। আগের দিনের থেকে বেড়েছে কোভিড পরীক্ষা। সেই সঙ্গে, দৈনিক টিকাকরণও তিন লক্ষাধিক হয়েছে। তবে নিম্নমুখী হয়েছে সংক্রমণের দৈনিক ও মোট হার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬২ জনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ৮১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৪ জন। জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং (৭৭), পূর্ব মেদিনীপুর (৪৯), পশ্চিম মেদিনীপুর (৪২), হাওড়া (৪১), কোচবিহার (৪০), হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা (দু’জেলায় ৩৮ জন করে), জলপাইগুড়ি (৩৬), এবং নদিয়া (৩৪)-য় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকাকরণও জরুরি বলে পরামর্শ চিকিৎসকদের। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে তিন লক্ষ ৬ হাজার ৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
করোনা রুখতে টিকাকরণ ছাড়াও কোভিড পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তদের সন্ধান করার হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, দৈনিক কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে সংক্রমণের দৈনিক হার কমে হয়েছে ১.৫২শতাংশ।
সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এর মধ্যে জলপাইগুড়িতে চার জন ছাড়া কোচবিহার, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান এবং হুগলিতে এক জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এ রাজ্যে মোট ১৮ হাজার ৯৫ জন করোনায় মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।