গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
দৈনিক টিকাকরণে আগের দিনের থেকে গতি এলেও রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ল। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতাতেও সংক্রমিতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য কমছে। সেই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে সংক্রমণের দৈনিক এবং মোট হারও নিম্নমুখী হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত মঙ্গলবার সন্ধ্যার বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৫২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে গোটা রাজ্যের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (৮০)। দার্জিলিঙেও নতুন আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ওই জেলায় নতুন করে ৭৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত ৬০ জন। এ ছাড়া জলপাইগুড়ি (৬১), কোচবিহার (৪৮), বাঁকুড়া (৪৬), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৪৫) এবং ঝাড়গ্রাম (৪৪) জেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ বা তার বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট ১৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৯৯ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দৈনিক সংক্রমণ কমে হয়েছে ১.৩১ শতাংশ। যা আগের দিনের (১.৯৮ শতাংশ) থেকে কম। সেই সঙ্গে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমেছে। স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে ১২ হাজার ৫০৯ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন।
সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব বার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মাস্ক পরা বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতোই টিকাকরণও যে কোভিডের বিরুদ্ধে অন্যতম হাতিয়ার, সে পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। সে পরামর্শ মেনেই রাজ্য দৈনিক টিকাকরণ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১ লক্ষের কিছু কম টিকাকরণ হয়েছিল।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জন করে সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতা, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়াতে ১ জন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার ২১ জনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই মোট ৪ হাজার ৯৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে টিকাকরণের পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষাও জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৫০ হাজার ৭১৩টি পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।