রাকেশ আস্থানা। ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানাকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার পদে নিয়োগের ‘কারণ’ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিল কেন্দ্র। ওই হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থা কার্যকরের বাধ্যতামূলক প্রয়োজনে তাঁকে (আস্থানা) বাছাই করা হয়। তিনি ছিলেন আন্তঃ-ক্যাডার ডেপুটেশন (দিল্লির পুলিশ আধিকারিকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়) এবং জনস্বার্থে পরিষেবার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত দু’টি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
দিল্লির আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তারক্ষার মতো ‘চ্যালেঞ্জিং’ কাজের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আস্থানাই উপযুক্ত পুলিশ আধিকারিক বলে শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় দাবি করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ। গত ২৭ জুলাই আস্থানাকে দিল্লির কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক। ১৯৮৪ -র ব্যাচের গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার আস্থানার ২০২১-এরই ৩১ জুলাই অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তার মাত্র তিন দিন আগে চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে তাঁতে দিল্লি পুলিশের কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শাহ–ঘনিষ্ঠ আস্থানাকে সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর পদে নিয়ে আসা হয়েছিল এনডিএ সরকার আসার পরেই। সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার সঙ্গে সঙ্ঘাতের জেরে ২০১৮ সালে সরানো হয় আস্থানাকে। তাঁকে বিমান পরিবহণের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী কালে একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ‘নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো’ (এনসিবি) এবং বিএসএফের ডিজি-র দায়িত্বও দেওয়া হয়।
আস্থানাকে দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে দিল্লি বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছিল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আবেদনকারী পক্ষ।