গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
নতুন করে করোনা সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ধাপ ছুঁয়ে ফেলল রাজ্য। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৯০ জন। তার জেরে এ রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৩৬ হাজার ১১৭। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ২৩।
কলকাতায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। বুধবার কলকাতায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৪২৫ জন। এ দিন তা খানিকটা বেড়ে হয়েছে ৪৯৬। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১২ জন কলকাতার।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় ৪০৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৪৬, হাওড়ায় ১৮৩, হুগলিতে ৮১, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৯ এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৩১ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ৭৮, মালদহে ৬৯ এবং জলপাইগুড়িতে ৪০ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।
গত কাল রাজ্যে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৪ শতাংশ। এ দিন অবশ্য তা কয়েক ধাপ নেমেছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের টেস্ট হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে প্রতি দিনের সংক্রমণের হার। রাজ্যে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছিল ১৮ মার্চ। তার পর থেকে এই সংক্রমণের হারের দিকে নজর রাখলেও উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, মোট ১৩ হাজার ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ দিন করোনা ধরা পড়েছে ১ হাজার ৬৯০ জনের। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমে হয়েছে ১২.৮ শতাংশ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ২১ হাজার ৪১৫ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৩৫ জন, ৫৯.২৯ শতাংশ।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— লেখচিত্র ২ অর্থাত্ পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১২৮। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৪৮। তার আগের দু’দিন ছিল ১১৫ এবং ১০১। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ১৩৬ এবং ১৪২। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১২৮, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে |