COVID-19

COVID-19: নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়ল, জুনের পর কমল সংক্রমণের দৈনিক হার

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৮৭,৭১৫। তার মধ্যে ২০,৪৫,০৯৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ ১৯:৪৯
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

একটানা তিন দিন ধরে নিম্নমুখী হওয়ার পর রাজ্যে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বাড়ল। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের দৈনিক হার অনেকটাই কমেছে। ওই সময়ের মধ্যে সাত জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,২৩২ জন। এই মুহূর্তে ২১,২৮৭ জন কোভিড রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন ২০,৮১৮ জন। এ ছাড়া, ৪৬৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৮৭,৭১৫। তার মধ্যে ২০,৪৫,০৯৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় তা দাঁড়িয়েছে ৯.০৫ শতাংশে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। বস্তুত, ২৮ জুনের পর এই হার ৯ শতাংশের ঘরে নামল। ২৮ জুন তা ছিল ৯.৯২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩,৬১৬টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১,২৩২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩২,৯৯৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement