সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কোচবিহারে খোলা থাকছে দোকান-বাজার। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো কোচবিহারে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়লেও হুঁশ ফিরছে না জেলার বহু ব্যবসায়ীর। প্রশাসনের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই নির্দিষ্ট সময়সীমার পরেও দোকান-বাজার খোলা রাখছেন তাঁরা। মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা যাচ্ছে অনেকের। ফলে কোচবিহার শহরের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তবে নিয়মভঙ্গের উদাহরণ সত্ত্বেও যেন হেলদোল নেই প্রশাসনের।
সংক্রমণ রুখতে দোকানবাজার খোলা রাখার সময়সীমা বেধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত, সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা থাকবে বলে নির্দেশ রাজ্যের। তবে সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কোচবিহারে খোলা থাকছে দোকান-বাজার। সকাল ১০টার মধ্যে বাজার বন্ধ করার নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই তা খোলা থাকছে প্রায় দিনভর। যথাযথ ভাবে মাস্কও পরছেন না দোকানি থেকে সাধারণ মানুষ। মাস্ক ছাড়া ব্যবসা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সবথেকে বেশি কোচবিহার সদরে। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল কোচবিহারে সেই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬। তবে গত ৭ দিনে শুধুমাত্র কোচবিহার সদরে গড়ে ১০১ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ উঠলেও তা খণ্ডন করেছেন কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক শেখ রাকিবুল রহমান। তিনি বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলিতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই অভিযান আরও বাড়ানো হবে।”