সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
রাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য়ে সক্রিয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১৪৪ জন। রাজ্যে এখনও কোয়রান্টিনে রয়েছেন ৩৮১১ জন। তবে ইতিমধ্যেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১ জন। এ ছাড়া রাজ্যে কত মাস্ক, স্ক্রিনিং থার্মাল গান-সহ অন্যান্য যে সব সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে, তার তালিকাও জানান মুখ্যসচিব।
বুধবারই দেশের ১৭০টি জেলাকে হটস্পট ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে রাজ্যের ৪টি জেলা রয়েছে। সেগুলিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চান সাংবাদিকরা। কিন্তু জবাবে মুখ্যসচিব বলেন, কেন্দ্র হটস্পট ঘোষণা করেছে বা রাজ্য বা এটা করেছে, এই ভাবে বিষয়টি দেখা উচিত নয়। কোভিড-১৯ একটি জাতীয় মহামারি। এর বিরুদ্ধে কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলেমিশে কাজ করছে। কেন্দ্র রাজ্য আলাদা করে দেখা উচিত নয়।
অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য:
• ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, এই বিপদের সময় রাজ্যের সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে
• পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে
• আমরা ৬ মাস রেশন ফ্রি করে দিয়েছি
সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য:
• পাশাপাশি কোনও ক্রনিক রোগ ছিল কিনা, তাও লিখতে হবে
• ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর ‘ইমিডিয়েট কজ’ বা তাৎক্ষণিক কারণ কী, সেটা লিখতে হবে
• রাজ্যেও সেই ভাবেই ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে
• ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে আইসিএমআর নির্দিষ্ট গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছে
• কেউ যদি কারও সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তাঁর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে
• এই স্বাস্থ্যকর্মীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ডোজ দেওয়া হবে
• তাঁদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে
• স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ
যা বললেন মুখ্যসচিব:
• কিন্তু লকডাউন উঠলেই বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে
• লকডাউনের জন্য বায়োমেট্রিক নেওয়া সম্ভব হবে না
• করোনার সংক্রমণের জন্য জমির ই-রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার
• কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্র একসঙ্গে মিলে কাজ করছে
• করোনা একটি জাতীয় মহামারি, এখানে রাজ্য বা কেন্দ্র আলাদা, এমন ভাবার কারণ নেই