Coronavirus in West Bengal

COVID Help: কোভিড রোগীদের বাড়িতে দু’বেলা বিনামূল্যে পৌঁছচ্ছে গরমাগরম ডাল-ভাত-মাছ-মাংস, সৌজন্যে কোলাঘাটের সংগঠন

অসুস্থতার জেরে অনেক পরিবারেই দু'বেলা রান্নাবান্না কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সহায় হয়ে উঠেছে ‘সংকেত’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২১ ২৩:২৩
Share:

কোলাঘাটের কোভিড রোগীদের পরিবারের কাছে একপ্রকার ভরসা হয়ে উঠেছেন ‘সংকেত’-এর সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র।

সাময়িক হলেও কোভিড রোগীদের পরিবারকে স্বস্তি দিচ্ছেন কোলাঘাটের এক দল বাসিন্দা। প্রতিদিন দু’বেলা নিয়ম করে আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন গরমাগরম ডাল-ভাত-সব্জি বা মাছ-মাংস-ডিমের ঝোল। তা-ও বিনামূল্যে! এই ‘কোভিড কিচেন’-এর মাধ্যমে ঘরবন্দি ও চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিবারের কাছে একপ্রকার ভরসা হয়ে উঠেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে ‘সংকেত’ নামে এক সংগঠনের সদস্যরা।

Advertisement

রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো কোলাঘাটেও করোনার সংক্রমণে ঘরবন্দি বহু রোগী। অসুস্থতার জেরে অনেক পরিবারেই দু'বেলা রান্নাবান্না কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সহায় হয়ে উঠেছে ‘সংকেত’। বিনামূল্যে এলাকার প্রায় ৬টি গ্রামের ৫২টি করোনা আক্রান্ত পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা। সংকেতের এক সদস্য অসীম দাস বলেন, “সংক্রমণের জেরে জেলার মধ্যে কোলাঘাট ব্লকের অবস্থা সব থেকে খারাপ। বহু মানুষই রোজকার রান্নাবান্না নিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন। গত ৭ মে থেকে বড়িষা, বাড় বড়িষা, আমলহান্ডা, শাহাপুর, আসরআলির মতো এলাকাগুলিতে আমরা রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।

কোভিড রোগীদের পাশে তাঁরা বন্ধুর মতো দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন অসীম। তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় একটি রেস্তরাঁর সহযোগিতায় রান্না হচ্ছে। অনেকের বাড়িতে নিজেরাই খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। কোনও রোগীর বাড়ি দূরে হলে সে এলাকার ক্লাব বা স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খাবার পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।” তবে এই দুর্মূল্যের বাজারে কত দিন বিনামূল্যে খাবার জোগানো সম্ভব? অসীমের সাফ কথা, “যতদিন পারব, এ ভাবেই রোগীদের বাড়িতে বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে যাব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement