শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ ভাবেই প্রায় ৪ ঘণ্টা রোগীর দেহ পড়ে ছিল বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
করোনায় মৃত্যুর পর এক মহিলার দেহ হাসপাতাল চত্বরে ফেলে রেখেই পালানোর অভিযোগ উঠল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওই রোগীর দেহ প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে পড়ে ছিল বলে অভিযোগ। দেহ থেকে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালে। তবে শেষমেশ ওই দেহটি সৎকারের বন্দোবস্ত করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই চালকের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূত ভাবে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া বেশি নেওয়ারও অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই চালকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে শান্তিপুরে মাঝবয়সি এক মহিলার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পর থেকে বাড়িতেই নিভূতবাসে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ৩-৪ কিলোমিটার। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও অ্যাম্বুল্যান্স চালক নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা ভাড়া দাবি করেন। রোগীর পরিবার ভাড়ার টাকা মেটানোর পর মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছন চালক। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকানোর আগেই মহিলার মৃত্যু হয়। এর পর ওই রোগীকে ফেলে পালিয়ে যান অ্যাম্বুল্যান্স চালক।
অন্যান্য রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতালের গেটের সামনে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে পড়েছিল ওই কোভিড রোগীর দেহ। দেহ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কায় হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক ছড়ায়। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর পর দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতাল সুপার তারক বর্মণ বলেন, “দেহ সৎকারের জন্য আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”