প্রতীকী ছবি।
একদিকে ৯৪ বছরের বৃদ্ধের জয়ের কাহিনি। উল্টো দিকে সর্বতো ভাবে চেষ্টা করেও একশো বছরের বৃদ্ধা হার মানলেন করোনার কাছে। অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দু’ধরনের ছবি ধরা পড়ল রাজ্যের করোনা মানচিত্রে।
৯৪ বছরের বৃদ্ধের ২২ জুলাই করোনা ধরা পড়ে। নার্সিংহোমে কিছু দিন থাকার পরে ৩০ জুলাই তাঁকে চিকিৎসক বাসব বিজয় সরকারের অধীনে আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। এক সময় কাউকে চিনতে পারছিলেন না বৃদ্ধ। তার উপরে উচ্চ রক্তচাপের রোগী। সেই অবস্থা থেকে স্বাধীনতা দিবসে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফেরায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই আনন্দিত। করোনা জয়ের মুহূর্তকে স্মরণীয় রাখতে তাঁর হাত দিয়েই পতাকা উত্তোলন করান বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উল্টো দিকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের বৃদ্ধার কাহিনি। হাওড়ার বাসিন্দা ১০০ বছরের বৃদ্ধার করোনা ধরা পড়ার পরে বাড়িতেই ছিলেন। আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃদ্ধার অবস্থার অবনতির কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিজনেরা। সেই থেকে আইডি-র এইচডিইউ বিভাগের চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি শুরু থেকেই বৃদ্ধার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না। বুধবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। কলকাতা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে এর আগে ৯৪ বছরের এক কোভিড আক্রান্ত বৃদ্ধ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফুলবাগানের এক নার্সিংহোম থেকে করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফেরেন ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ৯৮ বছরের আর এক বৃদ্ধ। তিনিই এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রবীণতম করোনা-জয়ী যোদ্ধা। তাই করোনাকে হারানোর প্রশ্নে বয়স যে কোনও বাধা নয়, তার তালিকা দীর্ঘ হল ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে।