প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত একই পরিবারের আরও ৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে দুই শিশু ও এক কিশোর রয়েছে।এই নিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ১০ থেকে বেড়ে হল ১৫ জন। রাজ্যে এক দিনে ৫ জনের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
আক্রান্তদের বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। আক্রান্ত দুই শিশু বয়স ছ’বছর এবং ন’মাস। বাকি আক্রান্তদের বয়স ৪৫, ২৭ ও ১১ বছর। এদের মধ্যে ১১ বছর বয়স্ক কিশোর ছাড়া বাকি চার জনই মহিলা।
আক্রান্ত ওই পরিবারের আরও চার জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত পরিবারের সবাইকেই বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। পাশাপাশি ওই পরিবারের সংস্পর্শে আরও যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামিকাল শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল ওই এলাকায় যাচ্ছেন বলে স্বাস্থ্য দফতেরর এক আধিকারিকের সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে দিল্লিতে সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। বিলেতফেরত ওই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে ওই ব্যক্তির থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের।
আরও পড়ুন: জ্বর না থাকলেও করোনা-আক্রান্ত বৃদ্ধের চিকিৎসা চলছে ভেন্টিলেশনে রেখে
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দিল্লিতে যে ইংল্যান্ড থেকে আসা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে তাঁরা এসেছিলেন, সেই বিষয়টি জানায়নি ওই পরিবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাই তাঁদের লালরসের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। ওই পরিবারেরই আরও চার জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তাঁদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বেড়েছে একই পরিবারের পাঁচ জন সংক্রমিত হওয়ায়। তেহট্টের ওই পরিবারের আশপাশের বাসিন্দাদেরও হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু আক্রান্তদের মধ্যে দু’টি শিশু রয়েছে, তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে
রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে ৩১৫ জনেরই নেগেটিভ এসেছে। হোম কোয়রান্টিনে আছেন ২৫ হাজার ৮০ জন। ১৮১৯ জনের ১৪ দিনের নজরদারির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছেন ২০৮ জন। একই সঙ্গে গোটা রাজ্যেই ৮৭টি হাসপাতালে ১০৭১টি আইসোলেশন বেড তৈরি করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে আরও বেড বাড়ানোর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও আইসোলেশন বেড তৈরির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।