দেবদত্তা রায়। —ফাইল চিত্র।
করোনায় মৃত চন্দননগরের মহকুমাশাসকের দফতরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়ের স্বামী, ছেলে এবং শাশুড়ি হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে ওই তিন জনকে কলকাতার ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে, প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। দমদমের মতিঝিল লিচুবাগান এলাকায় দেবদত্তার শ্বশুরবাড়ি এলাকাকে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ ঘোষণা করা হয়েছে। পুরসভা এবং পুলিশের পক্ষ থেকে এ দিন সকালেই এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। এ দিন ফোনে দেবদত্তার স্বামী পবিত্র বলেন, “আমরা তিন জনেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। সকলেই ভাল আছি, সুস্থ আছি।”
স্বামী, চার বছরের ছেলে এবং বয়স্ক শাশুড়িকে নিয়ে দেবদত্তা লিচুবাগানের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন। গত ১ জুলাই থেকে সন্তানকে দেখভালের জন্য দেবদত্তা ছুটি নেন। ৮ জুলাই তাঁর করোনা-পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁর স্বামীরও করোনা ধরা পড়ে। গত সোমবার মৃত্যু হয় দেবদত্তার। তার পরে দেবদত্তার ছেলে এবং শাশুড়ির করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তার পর থেকে তাঁরা বাড়িতেই ছিলেন।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পবিত্র, তাঁর মা এবং সন্তানের চিকিৎসা বাড়িতেই চলছিল। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা দু’বেলা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছিলেন। তাঁদের কোনও উপসর্গই ছিল না। তবে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রশাসন তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার সকালে পুরসভার কর্মীরা গিয়ে লিচুবাগানে পবিত্রদের আবাসন এলাকা স্যানিটাইজ় করেন।