ছবি: পিটিআই।
করোনা মোকাবিলার কাজ করতে গিয়ে কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের এক জনকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা ঘোষণা করেছেন। করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে এক লক্ষ টাকা এবং মারা গেলে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোভিড-যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে মানপত্র এবং ব্যাজও দেবে রাজ্য।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ, চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মী-আধিকারিক মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৪১৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। রাজ্য সরকার মেনে নিচ্ছে, আগামী দু’মাস সংক্রমণ ক্রমশ বাড়বে। ফলে করোনা সামলানোর সঙ্গে যুক্তদের কাজের চাপও বাড়বে।
করোনায় মৃত সরকারি কর্মীর পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা স্পেশাল একটা স্কিম। অর্থসচিবের অধীনে থাকবে। মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব দেখভাল করবেন। কোভিডের কাজ করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারের এক জনকে সরকার চাকরি দেবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে।’’ এ দিনের ভিডিয়ো বৈঠকে ১৪টি জেলা প্রশাসনকে মৃতদের পরিবারকে ‘অফার অব অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ইতিমধ্যেই ২৮৪ জন আক্রান্তকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আরও ১১৯ জনের টাকা শীঘ্রই পৌঁছবে। ১২ জন মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই খাতে সব মিলিয়ে ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হাজার ছুঁল, সংক্রমণের হার বেড়ে ১৪
আরও পড়ুন: করোনা: সচেতনতা বাড়াতে বেশি কার্যকরী সেলেবদের ভিডিয়ো, বলছে সমীক্ষা
এ দিন নবান্ন থেকে কোভিড-যোদ্ধাদের মানপত্র এবং ব্যাজ দেওয়ার কর্মসূচির সূচনা হয়। মমতার কথায়, “কোভিড-যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে মানপত্র ও ব্যাজ দেওয়া হবে। সেই ব্যাজ তাঁরা পরতে পারবেন, যেমন পুলিশ বা সেনা জওয়ানরা পরেন।’’
করোনা নিয়ন্ত্রণে আমজনতার সচেতনতার উপরে এ দিন ফের জোর দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই দু’টো মাস সংক্রমণ শিখরে উঠবে। ক্লাবগুলোকেও অনুরোধ করব, আপনাদের পাড়াগুলোকে আপনারাই ভাল রাখুন। দেখে রাখুন যাতে সবাই মাস্ক পরেন, বিধি মানেন। পুজো আসছে সামনে। পুজোগুলো করতে হবে তো! তা হলে তো এখন থেকেই ঠিক থাকতে হবে। সমস্যা হলে পুলিশকে বলতে পারেন।’’