প্রতীকী ছবি।
অনেকেই সরকারি কোয়েরান্টিন সেন্টারে যেতে চাইছেননা। বিশেষ করে সমাজের বিত্তশালী মানুষদের একটা অংশ সরকারি ব্যবস্থায় থাকতে চান না। ফলে প্রবণতা তৈরি হচ্ছে বিদেশ যাত্রার কথা লুকনো। আর সেখান থেকেই তৈরি হচ্ছে বিপদ। সেই বিপদ এড়াতে এবার হোটেলে ‘কোয়রান্টিন’ থাকার বন্দোবস্ত করল রাজ্য সরকার। তবে হোটেলবাসের খরচ সরকার দেবে না। দিতে হবে যিনি কোয়রান্টিনে থাকবেন, তাঁকেই।
বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শহরের ৩১টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নানা মাপের, নানা খরচের হোটেল রয়েছে ওই তালিকায়। তিন তারা হোটেলও যেমন রয়েছে, তেমনইরয়েছে ছোটখাটো হোটেলও। তবে কোয়রান্টিনে থাকা ব্যক্তির কাছ থেকে হোটেল সর্বাধিক কত টাকা নিতে পারবে তা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তিন তারা হোটেলে থাকার খরচ দৈনিক ৭ হাজার টাকা। আবার অন্য হোটেলে ২ হাজার ২০০ টাকা দিয়েও থাকা সম্ভব।
কোয়রান্টিনে রাখার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষকেও মানতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকটি নিয়ম। প্রথমত, একটি ঘরে একজন ব্যক্তিই কোয়রান্টিনে থাকবেন। ওই ব্যক্তির ঘরে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। ওই ব্যক্তির ঘর প্রতিদিন নির্দিষ্ট রাসায়নিক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ওই ব্যক্তির ব্যবহৃত বিছানার চাদর এবং অন্যান্য জিনিস আলাদা করে কাচাকাচি করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে দেড় হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি মমতার
এ ছাড়াও ১৪ দিনের আগে ওই ব্যক্তি ঘরের বাইরে বেরতে পারবেন না। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় নজর রাখা হবে তাঁর গতিবিধির উপর। স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, আমলাপুত্র থেকে শুরু করে বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী পুত্র, বিদেশ থেকে ফেরা সত্ত্বেও গোটা বিষয়টি গোপন করে রেখেছিলেন। জানা গিয়েছে তাঁরা সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে যেতে চাননি। এ রকম বিত্তশালী পরিবারেরসদস্যেরা এখন থেকে চাইলে হোটেলে থাকতে পারেন নিয়ম মেনে, টাকা দিয়েই।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে আটকে ২৭ বাঙালি, উদ্ধার পেতে কাতর আর্তি নবান্নের কাছে