‘ভুল করেছি’, বললেন গোমূত্র খেয়ে অসুস্থ

কয়েক দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে সেখান থেকে ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন গোমূত্রের শিশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ০৪:৩২
Share:

হাসপাতালে শিবু। নিজস্ব চিত্র

করোনা-আতঙ্কে ‘গো-আরক’ খেয়েছিলেন। গলা ও বুকে ব্যথা নিয়ে আপাতত ঝাড়গ্রামের শিবু গরাইয়ের ঠাঁই হয়েছে জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গা মেলেনি। তাই মেঝেই ভরসা। এখন শিবু অবশ্য বলছেন, ‘‘খুব ভুল করেছি। করোনা ঠেকাতে আমার মতো আর কেউ যেন গোমূত্র পান না করেন।’’

Advertisement

ঝাড়গ্রাম শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায় থাকেন শিবু। বাড়িতেই কাপড়ের দোকান রয়েছে তাঁর। স্ত্রী, দুই ছেলে নিয়ে সংসার। কয়েক দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে সেখান থেকে ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন গোমূত্রের শিশি। তাতে লেখা ‘গো-আরক’। বছর বিয়াল্লিশের শিবু জানান, বিক্রেতা জানিয়েছিলেন, এক থেকে দুই ছিপি ওই ‘গো-আরক’ নিয়মিত খেলে শরীরের রক্ত দোষ কাটে। করোনা-সহ নানা রকম শারীরিক ব্যাধি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। করোনা-ভয় কাটাতে বিশ্বাস করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ছিপি গোমূত্রের আরক খেয়েছিলেন শিবু। তার পরেই শরীরে নানা অস্বস্তি শুরু হয়। গলা ও বুক জ্বলতে থাকে। শিবুকে পরিজনেরা নিয়ে যান ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। শারীরিক অবস্থা দেখে শিবুকে ভর্তি করে নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার শিবু বলেন, ‘‘পরিবারে আমিই রোজগেরে। তাই আমার করোনা হলে ব্যবসা লাটে উঠবে, এমন আশঙ্কাতেই গোমূত্রের আরক খেয়েছিলাম। অন্ধবিশ্বাসে ভে‌বেছিলাম, প্রতিষেধকের কাজ করবে। অসুস্থ হয়ে বুঝেছি কী ভুল করেছি।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, শিবুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement