কলকাতা হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত রাজ্যের সব আদালতেই করোনা-সতর্কতায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় রবিবার একটি নির্দেশিকায় জানান, কাল, মঙ্গলবার থেকে শুধু জরুরি মামলার শুনানি হবে। ভিড় ও জনসমাগম এড়াতে হবে আদালতে। ২০ মার্চ, শুক্রবার পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় ভিড় কমাতে বা এড়াতে বলা হয়েছে। ভিড়ে হাজির হওয়া মানুষের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। আজ, সোমবার ‘থার্মাল গান’ নিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন হাইকোর্টের ‘এ’, ‘বি’ ও ‘ই’ গেটে। বিচারপতি, আইনজীবী, আধিকারিক, বিচারপ্রার্থী বা দর্শক, যিনিই হাইকোর্টে ঢুকবেন, তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। জেলা ও মহকুমা আদালতেও একই ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টে চিকিৎসক ও থার্মাল গানের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করে রাজ্য সরকারকে চিঠিও লিখবেন রেজিস্ট্রার জেনারেল।
হাইকোর্টের নির্দেশিকায় আদালত চত্বর, এজলাসে ও আইনজীবীদের চেম্বারে ভিড় কমাতে বলা হয়েছে। অনিবার্য কারণ ছাড়া আসতে নিষেধ করা হয়েছে মামলাকারীদেরও। বিচারাধীন বন্দিদের আদালতে হাজির করানোর বদলে ভিডিয়ো-সম্মেলনে শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে। শুনানিতে বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে কেউ অনুপস্থিত থাকলে কোনও বিরূপ রায় দেওয়া হবে না বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। বিচারপতি ও আইনজীবীদের কাছে শিক্ষারত ‘ইন্টার্নদের’ আপাতত আদালতে আসতে বারণ করতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। সব আদালতে কর্মীর
সংখ্যা অর্ধেক করে দিতে বলেছে হাইকোর্ট। কর্মীরা যাতে ‘রোটেশন’ ভিত্তিতে কাজ করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশিকার পরে কোনও কর্মী কোনও এক দিন অনুপস্থিত থাকলে তা ‘অন ডিউটি’ ছুটি হিসেবে গণ্য করা হবে। আজ, সোমবার থেকে জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির কাজকর্ম বন্ধ থাকবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিয়মিত জীবাণুনাশক রাসায়নিক ছড়াতে হবে। বিচারক ও বিচারপতিরা কাজ সেরে দ্রুত ফিরতে পারবেন এবং তাঁদের অধীন কর্মীদের ছুটি দিতে পারবেন। আইনজীবীদের জিনিসপত্র নেওয়া বা রাখা ছাড়া ‘বার’ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।