দেবদত্তা রায়।
কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজ্যের এক আমলার। হুগলিতে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী ওই ডব্লিউবিসিএস অফিসার। সোমবার সকালে শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।
ওই আধিকারিক, দেবদত্তা রায় ২০১০ সালের ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। হুগলি জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেকের বেশি তিনি অসুস্থ ছিলেন। এর পর কলকাতায় তিনি কোভিড পরীক্ষা করান। সেই রিপোর্ট পজিটিভ হয়। জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদমের লিচুবাগানে বাড়ি দেবদত্তা রায়ের। কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর তিনি প্রথমে হোম আইসোলেশনেই ছিলেন।
কিন্তু বাড়িতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দেবদত্তার পরিবারের কাছ থেকে জেলাশাসকের দফতরে জানানো হয়েছিল যে তিনি কলকাতার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেখানে ভর্তি হতে পারেননি। এর পর রবিবার বিকেলে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে হুগলির শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ১০২ বিধায়ক সঙ্গে, দাবি গহলৌতের ।। ২৫ জন তো আমার পাশে, পাল্টা বললেন সচিন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবদত্তাকে যখন ভর্তি করা হয় তখন তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কমে এসেছিল। তাঁর সংক্রমণও বেড়ে গিয়েছিল।
হুগলির জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরার পর ডানকুনিতে যে ট্রানজিট ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তার দায়িত্বে ছিলেন দেবদত্তা। হুগলিতে কাজ করার আগে তিনি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক হিসাবে কাজ করেন পুরুলিয়াতে। বাড়িতে তাঁর চার বছরের শিশুসন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত করবে সিআইডি
তবে কোথা থেকে তিনি আক্রান্ত হলেন তা স্পষ্ট নয়। কারণ হুগলিতে তাঁর কর্মক্ষেত্র এবং তাঁর বাড়ির এলাকা, সাম্প্রতিক অতীতে দুই জায়গাতেই কোভিডের ব্যাপক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। হুগলিতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় রবিবার রাত পর্যন্ত সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।