এই প্রথম মালদহে করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান মিলল। ছবি: পিটিআই।
এই প্রথম করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল মালদহ জেলায়। কোয়রান্টিনে ছিলেন ওই ব্যক্তি। গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যের ৯টি জেলার মধ্যে মালদহ ছিল অন্যতম। নবান্নে একাধিকবার মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পর পর সমস্ত কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সোমবার প্রথম সেই মালদ থেকেই পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক থানা এলাকার বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে কাজ করতেন। রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পরেই তিনি নিজের জেলায় ফিরে যান। তার পর থেকে মানিকচক কলেজের কোয়রান্টিন সেন্টারে ছিলেন ওই ব্যক্তি। সূত্রের খবর, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা মানুষদের কোভিড টেস্ট করা শুরু হয়েছে। সেই টেস্টেই ওই ব্যক্তির শরীরে ধরা পড়েছে করোনার অস্তিত্ব। তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোয়রান্টিন সেন্টারে যাঁরা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।
অতি সম্প্রতি মালদহ মেডিক্যাল কলেজে কোভিড টেস্টের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। দিনে ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা যায় এখানকার পরীক্ষাগারে। অন্য দিকে, চিকিৎসাকর্মী এবং নার্সদের মধ্যে সংক্রমণের ধারা অব্যাহত। কয়েক দিন আগেই স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের এক ফার্মাসিস্টের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এ বার ওই হাসপাতালেরই দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং দু’জন নার্সের দেহেও সংক্রমণের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছুঁইছুঁই, করোনায় মৃত ৮৭২
আরও পড়ুন: খাবার, ওষুধ-সহ সবরকমের পণ্য সরবরাহের অনুমতি চাইল ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজন
সূত্রের খবর, সরকারি হাসপাতালে একের পর এক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে সংক্রমণের ঘটনা রাজ্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি করছে। তা রুখতে স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদ্ধতির প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করছে। তার মধ্যে একটি, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেই কোভিড পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের প্রস্তাব সরকারি হাসপাতালে কোনও রোগী গেলেই আগে কোভিড পরীক্ষা করা হোক। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই সাধারণ বেডে স্খানান্তরিত করা হোক। জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হোক। রিপোর্ট পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে পাঠানো হোক। তবে এই প্রস্তাব এখনও গৃহিত হয়নি। কারণ, তার জন্য অনেকটা সময় লাগবে, সেই সঙ্গে প্রয়োজন হবে কিটের। তার জোগান দেওয়া কতটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।