রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে সব থেকে বেশি প্রকোপ। পূর্ব মেদিনীপুরের আটটি পুরসভা বা ব্লক বেশ কিছু এলাকাকে অতিস্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।
পূর্ব মেদিনীপুরের সংক্রমিত এলাকার তালিকায় সব থেকে উপরে রয়েছে এগরা পুরসভা। এই পুরসভার ওয়ার্ড নম্বর ১, ২, ৩, ৬, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ অতিস্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং ৪, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশও এই তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও মঞ্জুশ্রী ও ছত্রী গ্রামপঞ্চায়েতের একাংশ অতিস্পর্শকাতর চিহ্নিত হয়েছে।
হলদিয়া পুরসভার ৪, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৩, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড পুরো এবং ৩, ৫, ৭, ১১, ১৫, ১৯, ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ অতিস্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
হলদিয়ার রাজনগর গ্রামের বাড় উত্তর হিংলি, চকদৈপা, দেউলপোতা এলাকাগুলির একাংশ এবং হলদিয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ অতিস্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
সুতাহাটা এলাকায় পাথর বেড়িয়ার জয়নগর এবং হরেখালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা অতিস্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এবং এই এলাকা সংলগ্ন হলদিয়া পুরসভার ২, ৩, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ তালিকায় আছে।
শহীদ মাতঙ্গিনীর বল্লুক ও সবলারা গ্রামের কিছু অংশকে অতিস্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বল্লুক-১ ও ২ এলাকা। এছাড়া শান্তিপুর-২, রঘুনাথপুর-২ ও ৩ কালহারদা, খারুই-২ এলাকাগুলির কিছু অংশ এবং তমলুক ভিলা এলাকার নীলকুঠির একাংশ অতিস্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
শহীদ মাতঙ্গিনীর আরপিএফ বারাক এলাকায় শান্তিপুর-১ ও ২ এবং শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক ও দেড়িয়াচক গ্রামপঞ্চায়েতের কিছুটা এবং সেই সঙ্গে ভোগপুর, সাগরবাড়, অমলহান্ডা গ্রামপঞ্চায়েতগুলির একাংশ অতিস্পর্শকাতর। কোলাঘাট ব্লকও এই তালিকায় রয়েছে।
সুতাহাটায় বড়তালিয়ার চৈতন্যপুর, আসাদতালিয়ার কিছুটা অংশ এবং দেউলপোতা, চকদৈপা, দেভোগ গ্রামপঞ্চায়েতের একাংশ যা হলদিয়া ব্লকের মধ্যে পড়ছে, অতিস্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়েছে। হলদিয়া পুরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কিছুটা করে অংশও এই তালিকায় রয়েছে।
গোটা পাঁশকুড়া পুরসভা বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাঁশকুড়া ব্লকের চৈতন্যপুর-২, ঘোষপুর এবং গোবিন্দনগর গ্রামপঞ্চায়েতের কিছুটা অংশ অতিস্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।