corona virus

ওড়িশা ফেরত ১২ শ্রমিক পাকড়াও, পালাল ৫ জন

স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ৫ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠিয়ে বাকিদের কোয়রান্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার আগেই বেপাত্তা হয়ে গেলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০০:০১
Share:

ছবি: প্রতীকী

রাজ্য ও জেলার সীমানা সিল থাকলেও পরিযায়ী শ্রমিকের আনাগোনা চলছেই। ওড়িশা থেকে মুর্শিদাবাদগামী ১৭জন এমন শ্রমিককে চিহ্নিত করেছিল খড়্গপুর-২ ব্লকের প্রশাসন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ৫ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠিয়ে বাকিদের কোয়রান্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার আগেই বেপাত্তা হয়ে গেলেন তাঁরা। পরে ১২জনকে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে পুলিশ ধরলেও খোঁজ নেই মেডিক্যালে পাঠানো বাকি ৫জন শ্রমিকের!

Advertisement

শুক্রবার খড়্গপুর-২ ব্লকের রূপনারায়ণপুরের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওড়িশাগামী ৬০নম্বর জাতীয় সড়কে রূপনারায়ণপুর উড়ালপুলের নীচে দেখা যায় ১৭জন শ্রমিককে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই শ্রমিকেরা ওড়িশার ভদ্রকে কাজে গিয়েছিলেন। লকডাউনের মধ্যে বাড়ির পথ ধরেন তাঁরা। বুধবার কোনওভাবে খড়্গপুরে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনের নজরে আসতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বন্ধ একটি ধাবায়। সেখানেই আসেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। ওই শ্রমিকদের ৫জনের শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁদের পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। বাকি ১২জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক ছিল এ দিন সকালে তাঁদের ব্লকের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সকালেই উধাও হয়ে যান ১২জন। পরে খোঁজ পাওয়া যায়নি মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো ৫জনেরও। খড়্গপুর ২-এর বিডিও আলি মহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “সকাল থেকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রান্না শুরু হয়েছিল। তার আগেই ওই শ্রমিকেরা ধাবা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পুলিশ অনেক খুঁজে কোলাঘাট থেকে ১২জনকে ধরে কোয়ারান্টিন কেন্দ্রে পাঠায়। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো ৫জনকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ চলছে।”

ভদ্রক থেকে হেঁটেই ওই শ্রমিকেরা খড়্গপুরে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার রাতে ধাবা থেকে ১২জন ফের হেঁটেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতার দিকে এগোতে থাকেন। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা জাতীয় সড়ক ধরে তল্লাশি চালানোর সময় ওঁদের খোঁজ পাই। ১২জনকেই কোয়রান্টিনে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement