প্রতীকী ছবি।
শারীরিক অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক নয়াবাদের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের। শুক্রবার এ কথা জানান, কলকাতার কলকাতার পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তা সিঞ্চন ভট্টাচার্য। তিনি আরও জানান, বৃদ্ধের রক্তচাপ কমেছে, আরও দুর্বল হয়েছে ফুসফুস। প্রভাব পড়ছে কিডনির উপরেও। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না-হলে তাঁর একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
ওই বৃদ্ধের সূত্রে তাঁর স্ত্রী, ছেলে, বৌমা, নাতনি, পরিচারিকা এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট কী আসে, তার উপরে কোন সূত্রে বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ এবং তাঁর পরিবার। আমন্ত্রিত ছিলেন কয়েক জন বিদেশিও।
গত ১৩ মার্চ এগরা পুরসভা এলাকার এক হোমিয়ো চিকিৎসকের ছেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ওই বৃদ্ধ। সেখানেই কোনও ভাবে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি দিঘাতেও ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ওই বিয়ে বাড়িতে দেশ-বিদেশের অতিথিরা এসেছিলেন। বালেশ্বর, ভুবনেশ্বর, রৌরকেলা, হায়দরাবাদ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বোকারো, মধ্যপ্রদেশের আমন্ত্রিতরা ছাড়াও আমেরিকা ও সিঙ্গাপুর থেকে ওই চিকিৎসকের চার বন্ধু এসেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আমন্ত্রিতদের সংখ্যা খতিয়ে দেখতে গিয়ে তালিকা ক্রমশই লম্বা হচ্ছে। কয়েকজন বিদেশি অতিথি ইতিমধ্যে সে সব দেশে ফিরেও গিয়েছেন। দিঘার হোটেলে বৃদ্ধের সংস্পর্শে কে কে এসেছেন, তা-ও দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই হোটেল এবং সেখানকার কর্মীদের কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। এগরা থেকে ১৩ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।