— ফাইল ছবি।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কী ভাবে ডেঙ্গির মোকাবিলা করা হবে, তার রূপরেখা তৈরির জন্য বৈঠক হল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হওয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, রাজ্যের ১৬টি দফতরের সচিব, যে সব জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সে সব জেলার জেলাশাসক। ডেঙ্গি মোকাবিলা এবং রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৮১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।
বৈঠকে ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১। গ্রাম এবং শহরে দরজায় দরজায় ঘুরে মানুষকে সচেতন করার জন্য মোতায়েন করা হবে এক লক্ষ ৩২ হাজার জন।
২। শহর এলাকায় চলতি বছরের মার্চ থেকেই জীবাণু নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৩। গ্রামগুলিতে পঞ্চায়েত পিছু ১৫ সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে। সেই দলের সদস্যেরা দরজায় দরজায় ঘুরে মানুষকে সচেতন করবেন। জীবাণু নিয়ন্ত্রণের কাজও করবেন। শহরতলির ক্ষেত্রে এই কাজের জন্য অতিরিক্ত লোক মোতায়েন করা হবে।
৪। রাজ্যের ৬০টি সরকারি এবং পুর হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
৫। যাতে মশার লার্ভা না জন্মায়, সে জন্য ১,৫০০ কিলোমিটার খাল সংস্কার করা হবে, সপ্তাহে অন্তত দু’বার।
৬। বর্ষার আগে বন্ধ কারখানা চত্বর, সরকারি দফতর, বাস ডিপো, আবর্জনা স্তূপ, ফাঁকা জায়গা পরিষ্কার করা হবে। সেগুলিতে নিয়মিত নজর দেওয়া হবে।
৭। ডেঙ্গি নিয়ে নাগরিকদের সচেতন করার ভার দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর, সমাজকল্যাণ দফতর, পুলিশ এবং আবাসন দফতরকেও।
৮। ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসার জন্য বর্ষার আগে ৮,৫০০ মেডিক্যাল অফিসার এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৯। নাগরিকদের সচেতন করার কাজে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি, পুরসভা, স্বাস্থ্যকর্মীদের।
১০। ২৯ মে থেকে ৪ জুন ডেঙ্গি সপ্তাহ পালন করা হবে। ওই সপ্তাহে শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেওয়া হবে।
১১। ডেঙ্গি সংক্রান্ত নথি, তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ পদক্ষেপ করবে।
১২। ১৪০টি শহর লাগোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হবে।
১৩। শহর এবং গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে যাঁরা সচেতন করবেন, তাঁদের পরিচয়পত্র এবং জ্যাকেট দেওয়া হবে।