Jadavpur University

সাপ্লিমেন্টারি না দিয়ে পাশ! বিতর্ক

যাদবপুর সূত্রের খবর, প্রায় আট বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অন্তত এক হাজার পড়ুয়া সাপ্লিমেন্টারি পেয়েছেন।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২১ ০৭:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

অতিমারির প্রবল দাপটের মধ্যেও উচ্চশিক্ষায় পরীক্ষা ছাড়া পাশ করিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজিরা দিয়ে পরীক্ষা সম্ভব না-হলেও সময় বেঁধে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাপ্লিমেন্টারি পাওয়া পড়ুয়াদের আর ওই পরীক্ষা দিতেই হবে না! তাঁদের বিষয়টি বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা হবে। পাশ করিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের।

Advertisement

যাদবপুরের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান কী ভাবে এই পথে হাঁটতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা-সহ বিভিন্ন শিবিরে।

যাদবপুর সূত্রের খবর, প্রায় আট বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অন্তত এক হাজার পড়ুয়া সাপ্লিমেন্টারি পেয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। ওই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি এত পরীক্ষার্থীর সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়া প্রায় অসম্ভব বলে বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা কমিটির বৈঠকে মত প্রকাশ করা হয়। তার পরে সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পাশ করিয়ে দেওয়ার পরে ওই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ যদি সন্তুষ্ট না-হন, পরবর্তী নিয়মিত পরীক্ষার সময় তিনি এই পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু এই বিষয়ে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা একমত নন।

Advertisement

সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ দিনের বৈঠকে ছিলেন। তিনি জানান, অতিমারির জন্য অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা প্রক্রিয়া অত্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। ডিসেম্বরে যে-পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল, তা নেওয়া হচ্ছে মার্চে। কোনও পত্রে অকৃতকার্য হলে পরীক্ষার্থী রিভিউ করান। তাতেও ফল একই হলে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হয়। তাতেও অকৃতকার্য হলে ‘রিপিট’ পরীক্ষা দেন সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া। পুরোটাই বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।

বিষয়টি নিয়ে যাদবপুরের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের ফলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। পরীক্ষা না-দিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement