State News

সব সরকারি ফর্ম থেকেই বাদ বিতর্কিত অংশ ও শর্ত

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বহু দশক ধরে রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগে কিছু ফর্মের ব্যবহার হচ্ছে, যাতে নাগরিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০৫:২০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ ও ‘মেডিক্যাল টেস্ট’-এর ফর্মের বিতর্কিত শর্ত সংবলিত অংশ যে বাতিল হবে, বৃহস্পতিবারেই নবান্ন সূত্রে সেটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সব অংশ নিয়ে বিতর্কের জেরে রাজ্যের সব সরকারি ফর্ম থেকেই বিতর্কিত অনুরূপ অংশগুলি বাদ দিতে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।

Advertisement

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বহু দশক ধরে রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগে কিছু ফর্মের ব্যবহার হচ্ছে, যাতে নাগরিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারী অথবা বাবা-মা অন্য দেশ থেকে এসে থাকলে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। সব দফতর অবিলম্বে ফর্ম খতিয়ে দেখুক। ফর্মে নাগরিকতা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অথবা প্রতিবেশী দেশ থেকে আসার বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে তা অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। নির্দেশে এটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, আবেদনকারী, বিশেষ করে মহিলা আবেদনকারীদের অত্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্য জানার বিষয়টি সংশোধন করতে হবে। তথ্য জানতে হবে সম্মানজনক ভাবে। সরকারি বিভাগগুলি এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করল, এক সপ্তাহের মধ্যে তা স্বরাষ্ট্র দফতরে ই-মেল করে জানাতে হবে।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ বা পুলিশ দিয়ে প্রার্থীর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া এবং মেডিক্যাল টেস্ট বা স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই বিষয়ে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শিক্ষকেরা আপত্তি তোলেন। পুলিশি যাচাইয়ের ফর্মের বিভিন্ন পয়েন্ট নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। পুলিশ ‘পার্সোনাল অ্যান্টিসিডেন্টস’ বা প্রার্থীর পূর্বপরিচয় খতিয়ে দেখবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল। শিক্ষকপদের আবেদনকারী যদি আদতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল বা অন্য কোনও দেশের বাসিন্দা হন, তা হলে সেই দেশে তাঁদের ঠিকানা কী ছিল, তা-ও জানানোর নির্দেশ ছিল। ১০ নম্বর পয়েন্টে জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রার্থী কোন ধর্মাবলম্বী। শিক্ষকদের বক্তব্য, এই ফর্মে যা রয়েছে, তা সিএএ, এনআরসি, এনপিআর চালুর করারই পন্থা। স্বাস্থ্যপরীক্ষায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল, চাকরিপ্রার্থীর ডিম্বাশয় ও জরায়ু স্বাভাবিক কি না। পুরুষদের হাইড্রোসিল-হার্নিয়া আছে কি না ইত্যাদি। আপত্তি ওঠে এই সব বিষয়েই। তার পরেই সেগুলি বাতিল করার নির্দেশ দিল নবান্ন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement