পুলিশের হস্তেক্ষেপে ছাড়া পেলেন শিল্পীরা। প্রতীকী ছবি।
চুক্তি অনুসারে জলসা অনুষ্ঠানে শিল্পী আসেননি। তাই আয়োজনকারী সংস্থা যন্ত্রশিল্পীদের কয়েক জন এবং বাদ্যযন্ত্র আটকে রেখে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তেক্ষেপে ছাড়া পেলেন শিল্পীরা। ফেরত দেওয়া হল বাদ্যযন্ত্রও।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল কাঁথি-১ ব্লকের বকশিসপুরে গ্রামীণ পুজো উপলক্ষে জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে শিল্পী হিসেবে অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের থাকার কথা ছিল। তিনি কাঁথিতে এসেওছিলেন। যদিও, মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে তাঁর কোনও কথাবার্তা হয়নি। তাই তিনি কলকাতা ফিরে যান। এর পরে উত্তেজিত দর্শক মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং লাইট ও মাইক তছনছ করে বলে অভিযোগ। পরে, অবশ্য বাকি অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু অনুষ্ঠানের শেষে বাজনদার সংস্থার কলাকুশলী এবং তাঁদের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বাদ্যযন্ত্র ওই সংস্থা আটকে রেখে দেয় বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিন ধরে তাঁরা আটকে থাকায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাজনদার সংস্থার কলাকুশলীদের পরিবারের লোকজন। সমাজমাধ্যমে সরব হন ইমন চক্রবর্তী, লোপামুদ্রা মিত্র থেকে শুরু করে সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। শনিবার দুপুরে কাঁথিতে ১১৬ বি জাতীয় সড়ক অবরোধকরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে কাঁথি থানায় আয়োজনকারী সংস্থা এবং বাজনদার সংস্থার কলা কুশলীদের নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই সমস্ত কলা কুশলীদের ছেড়ে দেওয়া এবং তাদের বাদ্যযন্ত্র ফেরত দেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়।