Bengaluru FC

আইএসএলের ফাইনালে বেঙ্গালুরু, অতিরিক্ত সময়ে গোল করে নায়ক সুনীল ছেত্রী

আইএসএলের ফাইনালে উঠল বেঙ্গালুরু এফসি। রবিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে গোয়ার কাছে তারা ১-২ ব্যবধানে হেরে গেলেও, দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জিতে ফাইনালে গেল। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে নায়ক সুনীল ছেত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২৯
Share:

সুনীল ছেত্রী। — ফাইল চিত্র।

আইএসএলের ফাইনালে উঠল বেঙ্গালুরু এফসি। রবিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে গোয়ার কাছে তারা ১-২ ব্যবধানে হেরে গেলেও, দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জিতে ফাইনালে গেল। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে নায়ক সুনীল ছেত্রী। কেন তাঁকে ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বলা হয় তা আরও এক বার প্রমাণ করলেন সুনীল। ম্যাচের বেঙ্গালুরুর একটিই গোলে শট ছিল। সেটি সুনীলেরই। গোটা ম্যাচে গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু অসাধারণ কিছু সেভ না করলে ম্যাচটা হারার কথা বেঙ্গালুরুর।

Advertisement

দু’গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় খেলতে নামা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। মানোলো মার্কেজ়ের গোয়া তাই শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে। প্রথম মিনিট থেকেই গোয়ার আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে বেঙ্গালুরুর বক্সে। বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল গোয়ার ফুটবলারদের পায়েই। অনবরত চাপ দিয়ে যেতে থাকে তারা। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোল আসেনি। বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগ সাবধানি ছিল। গোয়ার প্রতিটি আক্রমণই আটকে দিচ্ছিল তারা।

বেঙ্গালুরু নজর দিয়েছিল প্রতিআক্রমণে। এক দিক থেকে গোয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই দ্রুত গতিতে প্রতিআক্রমণে উঠে যাচ্ছিল তারা। তবে তারাও গোল করতে সফল হয়নি। গোয়ার হয়ে উদান্তা সিংহ প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে তা বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। পরে বোরহারও একটি প্রয়াস বাঁচিয়ে দেন।

Advertisement

বিরতির পরেই এগিয়ে যায় গোয়া। বক্সের ঠিক বাইরে আয়ুষ ছেত্রীকে ফেলে দেওয়ায় ফ্রিকিক পেয়েছিল তারা। সরাসরি ফ্রিকিকে গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে গোল করেন বোরহা। গোল পেয়ে আরও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে গোয়া। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। বল জালে জড়িয়েছিলেন ডেজ়‌ান দ্রাজিচ। তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।

৭০ মিনিটের মাথায় পর পর দু’টি সেভ করেন গুরপ্রীত। প্রথমে উদান্তা বল রেখেছিলেন ইকের গুয়েরোচেনার কাছে। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। ফিরতি বল যায় আয়ুষের কাছে। তাঁর শটও বাঁচিয়ে দেন বেঙ্গালুরু গোলকিপার।

নির্ধারিত সময়ের কিছু ক্ষণ আগে দ্বিতীয় গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনেন আর্মান্দো সাদিকু। ডান দিক থেকে আকাশ সাঙ্গোয়ানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন। তার পরেই মোহনবাগানের প্রাক্তন স্ট্রাইকারকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। এ কারণে শাস্তিও পেতে হতে পারে তাঁকে।

তবে সাদিকুর সেই উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আক্রমণ করতে গিয়ে তারা রক্ষণেই ভুল করে বসে। সেই সুযোগে গোল করেন সুনীল। গোয়ার এক খেলোয়াড় বক্সের মধ্যেই ব্যাক পাস দিয়েছিলেন। তা ধরার কেউ ছিলেন না। সেই বল ধরে বক্সে ক্রস ভাসিয়েছিলেন নামগিয়াল ভুটিয়া। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সুনীল হেডে গোল করে দলের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement