কুণাল কামরা। —ফাইল চিত্র।
ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে বয়ান নথিবদ্ধ করা হোক। এই আর্জি জানিয়ে মুম্বই পুলিশকে চিঠি দিলেন কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। পর পর তিন বার সমন পাঠিয়ে তলব করা হলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশের ডাকে সাড়া দেননি তিনি। তামিলনাড়ুর স্থায়ী বাসিন্দা কুণালকে সোমবার পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়ে রেখেছে মাদ্রাজ হাই কোর্ট।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কুণাল। অভিযোগ, কৌতুকানুষ্ঠানের আসরে নাম না উল্লেখ করে পরোক্ষে একনাথকে ‘গদ্দার’ বলেন তিনি। একটি জনপ্রিয় হিন্দি গানের সঙ্গে শিন্দের অঙ্গভঙ্গি নকল করে দেখান কুণাল। পাশাপাশি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘তানাশাহি’ (একনায়কতন্ত্র) বলেও কটাক্ষ করেন। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তৎপর হয় মুম্বই পুলিশ।
পর পর দু’বার পুলিশ সমন পাঠানোর পর কুণাল জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ে তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে। হাজিরা দেওয়ার জন্য ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন কৌতুকশিল্পী। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। তার পরে আরও একবার তাঁকে সমন পাঠানো হয়। যে কোনও উপায়ে কুণালকে শনিবার হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই সমনেও সাড়া দেননি তিনি। কুণালের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, কৌতুকশিল্পী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘নয়া ভারত’ নামে এক অনুষ্ঠানে ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়। শিবসেনা বিধায়কদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করে মুম্বই পুলিশ। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শিন্দেসেনার রোষের মুখে পড়তে হয় কুণালকে। যে স্টুডিয়োতে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল, সেই স্টুডিয়োতে ঢুকে ভাঙচুর চালান শিন্দেসেনার কর্মী-সমর্থকেরা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসও দাবি করেন, অবিলম্বে কুণালের ক্ষমা চাওয়া উচিত।