সোমবার যাওয়া, মঙ্গলবার ফেরা মুখ্যমন্ত্রীর। — ফাইল চিত্র।
সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লিতে ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বৈঠকে তাঁর উপস্থিত থাকার কথা। সোমবার সন্ধ্যায় বিমান ধরে দিল্লি যাবেন। ফিরবেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। দু’দিনই মমতা ভিআইপি রোড ব্যবহার করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে সতর্ক পুলিশ ওই সময়ে কৈখালির কাছে মেট্রো রেলের কাজ বন্ধ রাখতে চায়। এ নিয়ে বিধাননগর পুলিশ হাইওয়ে ডিভিশনকে চিঠি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কৈখালি ও হলদিরামের কাছে ভিআইপি রোডের উপরে মেট্রোর কাজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে এবং মঙ্গলবার দুপুর ২টো থেকে মুখ্যমন্ত্রী ওই এলাকা পার হওয়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হোক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মতো ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
তাঁর দিল্লি সফরের কথা গত শুক্রবারই ধর্না মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে এক দিনের জন্য দিল্লি যেতে হবে। রাজনীতির জন্য নয়। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ নিয়ে ওরা নাকি একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি করেছে, তারা আমাকে আমার মতামত জানাতে ডেকেছেন। তাই আমি ৫ তারিখে সন্ধ্যায় যাব, ৬ তারিখে বেলা ২টোয় মিটিং করব। তার পর সন্ধেয় ফিরে চলে আসব। কারণ ৮ তারিখে আমার বাজেট আছে।’’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি মমতার কনভয়ের মধ্যে আচমকা একটি গাড়ি ঢুকে পড়ায় বিপত্তি হয় বর্ধমানে। সে দিন মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় পৌঁছন। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় সভা সেরে গাড়িতে কলকাতার পথে রওনা হন তিনি। সভাস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই দুর্ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি সভাস্থলের ছোট রাস্তা ছেড়ে যখন বড় রাস্তায় উঠছে, তখন পিছন থেকে আসা একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে পেরিয়ে যায়। সংঘর্ষ এড়াতে দ্রুত ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। সামনের আসনে বসে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরতে দেখা যায়। কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে একটি গাড়ি এসে পড়েছিল সামনে। ঝাঁকুনিতে গাড়ির ড্যাশবোর্ডে তাঁর মাথা ঠুকে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জোর বেঁচে গিয়েছি। মরেই যেতাম!’’
এর পরে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে পুলিশ এটাও নিশ্চিত করতে চায় যেন একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কারণেই মেট্রোর কাজের জন্য প্রায়শই যানজট হওয়া ভিআইপি রোডের ওই অংশে আগাম নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।