কালীঘাটে অগস্ট মাসেই শুরু হবে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। ফাইল চিত্র
সব ঠিকঠাক চললে চলতি মাসেই শুরু হতে পারে কালীঘাটের স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ। সমস্যার কারণে গত তিন বছর ধরে পরিকল্পনা করেও তা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সব সমস্যাই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র। আগে ঠিক হয়েছিল ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসেই এর নির্মাণকার্যের সূচনা করা হবে। কিন্তু শেষ মূহূর্তের কিছু রদবদলে তা কয়েকদিন পিছিয়ে গেলেও, তা চলতি মাসেই শুরু হয়ে যাবে স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ।
সমস্যা তৈরি হয়েছিল মূলত কালীঘাটের বাইরের দোকানগুলির জায়গা বদল নিয়ে। তিন বছর আগে যখন স্কাইওয়াক নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়, তখন কালীঘাট মন্দিরের বাইরে থাকা পাণ্ডাদের দোকানগুলি সরানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল সবপক্ষই। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যতদিন না স্কাইওয়াক নির্মাণ সম্পন্ন হচ্ছে, ততদিন দোকানদারদের কলকাতা পুরসভা বিকল্প দোকানের বন্দোবস্ত করে দেবে। সেক্ষেত্রে হাজরা পার্কে তাদের জন্য নতুন দোকানের নির্মাণ শুরু করেছিল পুরসভা। হাজরা পার্কে ইতিমধ্যে দোকানগুলি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছিল বণ্টনের ক্ষেত্রে, সরকারি নথি অনুযায়ী দোকানদারদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১০। কিন্তু হাজরা পার্কে দোকান পাওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল অনেক বেশি।এমন ঘটনা ঘটায় চোখ কপালে উঠেছিল পুর কর্তাদের। পরে তদন্তে স জানা যায়, বেশকিছু দোকানদার তাদের দোকান ভাড়ায় দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে যখন কলকাতা পুরসভা বিকল্প দোকানের প্রস্তাব দেয়, সেক্ষেত্রে মালিক ও ভাড়াটে দু’পক্ষই দোকানের জন্য পুরসভার কাছে আবেদন করে। তাই এক ধাক্কায় আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে সেই সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে বলেই দাবি রাসবিহারীর বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অডমিনিষ্ট্রেশনের সদস্য দেবাশিস কুমার। তিনি বলেছেন, ‘‘সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে।তাই এই মাসেই পুরনো দোকান ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যাবে।পুরসভা চেষ্টা করবে স্কাইওয়াক তৈরি করে দোকানদারদের যেন কালীঘাট মন্দির এলাকাতেই ফিরিয়ে আনা যায়।’’