গুলি চালানোর ঘটনায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার চলল গুলি। রবিবার মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই গুলি লাগে এক কংগ্রেস কর্মীর গায়ে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা গুলি চালানোর অভিযোগ করেছেন বিধায়ক।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদ ৪ নম্বর জেলা পরিষদের আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হক। সেই সময় উল্টো দিক থেকে গাড়িতে করে এলাকায় ঢোকেন শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় কংগ্রেস প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বিধায়ক। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি। গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস কর্মী।
তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুলিয়ানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কংগ্রেস কর্মীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবিতে ইতিমধ্যে সামশেরগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশাল বাহিনী।
কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হকের অভিযোগ, ‘‘বিধায়ক নিজে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার এক কর্মী আহত হয়েছেন।’’ কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আমার গাড়ি লক্ষ্য করে কংগ্রেস প্রার্থী গুলি করেছিল। শান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে।’’
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন-পর্বের প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও ভোটের সঙ্গে ওই ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদও। রবিবারই পঞ্চায়েত ভোটে ‘দেওয়াল দখল’কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এই জেলার ভরতপুরে। দেওয়াল লিখন নিয়ে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তৃণমূল এবং নির্দলদের মারামারিতে কপাল ফাটে নির্দল প্রার্থীর।