গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রদেশ কংগ্রেসের ধর্না-সত্যাগ্রহ। নিজস্ব চিত্র।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে ও আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে সত্যাগ্রহ-অবস্থানের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দিল কংগ্রেস। গোটা দেশেই রবিবার এআইসিসি-র নির্দেশে ‘সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কলকাতায় ময়দান চত্বরে গান্ধী মূর্তির নীচে দিনভর অবস্থান হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে। দেবপ্রসাদ রায়, অসিত মিত্র, শুভঙ্কর সরকার-সহ দলের প্রদেশ স্তরের নেতারা, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সাংগঠনিক জেলাগুলির সভাপতি এবং সব শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব অবস্থানে ছিলেন। জেলা সদরেও এ দিন একই কর্মসূচি ছিল কংগ্রেসের। দুর্গাপুর ও বর্ধমানে দলের অবস্থানে শামিল হয়েছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। বিজেপি সরকার ‘গণতন্ত্রের কালো অধ্যায়’ নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করে প্রদীপবাবু বলেন, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সব দলকে গেরুয়া শিবিরের মোকাবিলায় সর্বশক্তি নিয়োজিত করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোন দলের সঙ্গে জোটে যাব না যাব, তা নির্ধারণ করবে আমাদের দল। এআইসিসি সময়মতো সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিয়েছেন, বিপদের সময়ে যে দলগুলি পাশে আছে, তাদের প্রতি তিনি সহযোগিতার হাত বাড়াবেন।’’
অবস্থান কর্মসূচির অবসরেই যুব কংগ্রেস এ দিন ঘোষণা করেছে, বিভিন্ন এলাকায় দুর্নীতি, দাদাগিরি বা প্রতারণার ঘটনায় যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা একটি ই-মেল আইডি-র মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য বা অভিযোগ জানাতে পারেন। ‘বাংলার লজ্জা তৃণমূল’ নাম দিয়ে ওই ই-মেল খুলেছে যুব কংগ্রেস। প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি আজ়হার মল্লিক ও প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচীর বক্তব্য, ‘‘দুর্নীতি যা প্রকাশ্যে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। মানুষ আমাদের কাছে তথ্য দিয়ে অভিযোগ করলে রাজনৈতিক ও আইনগত ভাবে আমরা লড়াইয়ে যাব।’’ বাম আমলের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহে একই ভাবে ই-মেল খুলেছে তৃণমূলও। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘নকলনবিশ রাজনীতি চলে না! যারা সিপিএমের সঙ্গে থাকবে বলে সাঁইবাড়ি দিবস পালন করে না, তাদের মুখে এত কথা মানায় না।’’