বিধাননগরে ইডি দফতরের বাইরে কংগ্রেসের বিক্ষোভ।
কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির ‘প্রতিশোধমূলক রাজনীতি’র অভিযোগ করে দিল্লির পাশাপাশি এ রাজ্যেও ইডি-র দফতরে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ইডি তলব করার প্রতিবাদে সারা দেশেই কংগ্রেস এমন প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের এই কর্মসূচি হলেও ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগ এনে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরের সামনে সোমবার প্রদেশ কংগ্রেসের বিক্ষোভে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো, অসিত মিত্র, প্রদেশ নেতা শুভঙ্কর সরকার, কৃষ্ণা দেবনাথ, মহম্মদ মোক্তার প্রমুখ এবং তাপস মজুমদার, রানা রায়চৌধুরী, মনোরঞ্জন হালদার-সহ একাধিক জেলা সভাপতি। দিল্লিতে কংগ্রেস নেতাদের আটক করা হলেও এখানে পুলিশ অবশ্য তাঁদের গ্রেফতার করেনি। কংগ্রেস নেতারা দাবি করেন, দিল্লিতে ইডি-র দফতর থেকে রাহুল না বেরোনো পর্যন্ত এখানে তাঁরা অবস্থান করবেন। শুভঙ্কর বলেন, ‘‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় মানুষ জর্জরিত। সেখান থেকে নজর ঘোরানোর জন্য কেন্দ্র এই ধরনের পদক্ষেপ করছে। দোষী হলে রাহুল গান্ধী জেলে যেতে রাজি। কিন্তু প্রমাণ কোথায়? ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক লেনদেনের ব্যাপার নেই, সে তো আগেই জানা গিয়েছিল।’’ বিক্ষোভে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর প্রতীকী শবদেহও দাহ করা হয়েছে। পরে ইডি দফতরে গিয়ে দাবিপত্রও দিয়ে আসেন কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেসের এই ‘ইডি-ঘেরাও’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে এ দিনই তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট ভাষায় বলছে, কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ আসলে দ্বিচারী এবং সুবিধাবাদী রাজনীতির উদাহরণ। বাংলায় তৃণমূলকে রাজনৈতিক লড়াইয়ে হারাতে না পেরে সিবিআই-ইডি কিংবা আয়করের মতো এজেন্সিকে লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বাংলার বুকে বিজেপির এই ন্যক্কারজনক ঘটনা দেখে কংগ্রেস নেতারা তখন উল্টো সুর গেয়েছিলেন। শূন্যতে দলকে নামিয়ে আনা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী তো গলার শিরা ফুলিয়ে রোজ তোপ দাগতেন। এ বার কী বলবেন কংগ্রেসের সেই নেতৃত্ব? তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন ইডি-সিবিআই অন্যায় অভিযান চালিয়েছে, তখন তাকে সমর্থন করেছিলেন। তা হলে এ বার রাহুল-সনিয়ার ক্ষেত্রেও সমর্থন করুন’!