থানায় থানায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ-অবস্থান। কলকাতায়। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি’ ও একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রাজ্য জুড়ে সব থানা ঘেরাও করল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি করে স্থানীয় থানার মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চেয়ে দাবিপত্র দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিক্ষোভে বিভিন্ন জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেসের পাশাপাশি যুব কংগ্রেস ও শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র নেতা-কর্মীরাও শামিল হয়েছিলেন।
রাজ্যের ৯০% থানায় তাঁদের এই কর্মসূচি হয়েছে দাবি করে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, “পুলিশের আচরণ একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে চালিত হচ্ছে, এটা কাম্য নয়। লাগাতার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে মানুষ তিরস্কার করছেন। আশা করব, আগামী দিনে থানায় যেতে কেউ ভয় পাবেন না এবং মানুষ ও পুলিশের মধ্যে বিভেদ থাকবে না।”
উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে বৌবাজার, হেয়ার স্ট্রিট, মুচিপাড়া, নিউ মার্কেট, বালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর-সহ কলকাতার বিভিন্ন থানায় প্রতিবাদ-অবস্থান করেন দলের নেতা-কর্মীরা। আর জি কর-কাণ্ড যে থানা এলাকায় ঘটেছিল, সেই টালা থানায় কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচির পরে দাবিপত্র দিয়েছেন। উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেস বিভিন্ন থানার সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি (নর্থ)-র দফতর ঘেরাও করে অবস্থান-বিক্ষোভ করে। সর্বত্রই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতৃত্ব। অনেকে স্লোগান দেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না, সুরক্ষিত লক্ষ্মী চাই’।
কলকাতার সঙ্গেই রাজ্য জুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই এই কর্মসূচি নিয়েছিল কংগ্রেস। মালদহ ও দুই দিনাজপুরের প্রতিটি থানায় কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। এর জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কোচবিহারের মাথাভাঙা, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ও জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থানার সামনেও একই কর্মসূচি নিয়েছিল কংগ্রেস। কর্মসূচি ঘিরে সামান্য গোলমাল বাধে আসানসোলে। আসানসোল দক্ষিণ থানায় কংগ্রেস কর্মীরা দাবিপত্র দিতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। তা থেকেই বচসা-বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরে পুলিশ দাবিপত্র নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।